ভারত: ১৭৪/৯
অস্ট্রেলিয়া: ১৫৪/৭
দু-সপ্তাহ'ও হয়নি। বিশ্বকাপ ফাইনালে শতক সেরা ট্র্যাজেডির সাক্ষী থেকেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই হারের আবহেই এবার দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে নাকানিচোবানি খাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জিতল ভারত। ২-১'এ এগিয়ে রায়পুরে খেলতে নেমেছিল সূর্যকুমার যাদবের টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচেই অজিদের ভারত পরাস্ত করল ২০ রানে। প্ৰথমে ব্যাট করে ভারত স্কোরবোর্ডে ১৭৪/৯ তুলেছিল। জবাবে অস্ট্রেলিয়া নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৪/৭-এর বেশি তুলতে পারেনি।
গুয়াহাটিতেই ভারত তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে ফেলত। তবে হারের মুখ থেকে আরও একবার অতিমানবীয় ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। চতুর্থ ম্যাচে ম্যাড ম্যাক্স নেই। আর অজিদের ম্যাচ জেতানোর-ও কেউ নেই।
১৭৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের নেমেসিস হয়ে ওঠা ট্র্যাভিস হেড। হেড-ফিলিপস জুটি ৩ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৪০ তুলে দিয়েছিল। মুকেশ কুমার এবং দীপক চাহার শুরুর ওভারেই মার হজম করায় পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই দুই স্পিনারকে আক্রমণে আনতে বাধ্য হন ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার। আর এই চালেই অজিরা ব্যাকফুটে চলে যায়। চতুর্থ এবং পঞ্চম ওভারে রবি বিশ্নোই এবং অক্ষর প্যাটেল পরপর জস ফিলিপস এবং হেডকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
শুরুর এই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার অনভিজ্ঞ মিডল অর্ডার। অক্ষর প্যাটেল এবং রবি বিশ্নোই দুজনে নিজেদের চার ওভারের কোটায় খরচ করেন যথাক্রমে ১৩ এবং ১৭ রান। রবি বিশ্নোই আউট করেন ফিলিপসকে। অন্যদিকে অক্ষর প্যাটেল তিন উইকেট পান।
দীপক চাহারও দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে তুলে নেন টিম ডেভিড এবং ম্যাথু শর্টকে। এরপরে ক্রমাগত উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার রাস্তা পাকা করে অজিরা। শেষ পর্যন্ত ক্যাপ্টেন ওয়েড ক্রিজে টিকে থেকে ২৩ বলে ৩৬ করলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি বিশাল আস্কিং রেট সামলে।
তার আগে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দুই দলই প্রথম এগারোয় একাধিক বদল ঘটিয়ে খেলতে নেমেছিল। যশস্বী জয়সোয়াল এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে যান। তবে পাওয়ার প্লে-র শেষ বলে আউট হয়ে যান যশস্বী। মাঝের ওভারে ভারত আরও ব্যাকফুটে চলে যায় শ্রেয়স আইয়ার এবং সূর্যকুমার যাদব মাত্র কয়েক বলের ব্যবধানে আউট হয়ে যাওয়ায়।
এরপরে ভারতের হয়ে পাল্টা লড়াইয়ের মঞ্চ হাজির করে যায় রিঙ্কু সিং এবং গায়কোয়াডের ৪৮ রানের জুটি। ঠিক যখন মনে হচ্ছিল চতুর্থ উইকেটের এই জুটিই রান অজিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাবে। ঠিক তখনই আউট হয়ে যান রুতুরাজ।
রুতুরাজ আউট হয়ে যাওয়ার পরে রিঙ্কুর সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়েন জিতেশ শর্মা। দুজনে মারকাটারি ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩২ বলে ৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
তবে ১৯ এবং ২০ তম ওভারে দোয়ারসুইস এবং জেসন বেহরনডর্ফ দুজনে দুটো করে উইকেট শিকার করায়। রিঙ্কু পুরো ২০ ওভার ক্রিজে কাটাতে পারেননি। জেসন বেহরনডর্ফের ইয়র্কারে ৪৬ করে লেগ বিফোর হয়ে যান। তৃতীয় বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান দীপক চাহার। শেষ বলে ফিরতে হয় রবি বিশ্নোইকে। শেষ দিকে ব্যাটিং বিপর্যয় স্বত্ত্বেও ভারত স্কোরবোর্ডে ১৭৪ তুলে দেয়।