বিশ্বকাপের ফাইনালে অপ্রত্যাশিত হার হজম করতে হয়েছিল। তবে সেই হারের রেশ ভারত কিছুটা কাটিয়ে উঠেছে ঘরের মাঠে অজিদের টি২০ সিরিজে ৪-১'এ দুরমুশ করে। বেঙ্গালুরুতে নামার আগেই ভারত সিরিজ দখল করে ফেলেছিল রায়পুরে।
বেঙ্গালুরুতে শেষ ম্যাচ জিতে ভারত সিরিজের ব্যবধান নিয়ে যায় ৪-১'এ। তবে ভারতের এই জয়ে আম্পায়ারদের ভূমিকা রয়েছে। এমনই বিষ্ফোরক দাবি করে বসলেন প্রাক্তন অজি ব্যাটার ম্যাথু হেডেন এবং টি২০ সিরিজে ক্যাঙারুদের ক্যাপ্টেন ম্যাথু ওয়েড।
শেষ ওভারে অর্শদীপ সিংয়ের ওপর দায়িত্ব ছিল ১০ রান ডিফেন্ড করার। তবে দুর্ধর্ষ শেষ ওভারে অর্শদীপ মাত্র ৪ রান খরচ করেন। তবে শেষ ওভারে আম্পায়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল অজি শিবির। অর্শদীপ প্রথম বলেই বাউন্সার দেন। যে ওয়েডের ব্যাটের নাগাল এড়িয়ে উইকেটকিপার জিতেশ শর্মার হাতে পৌঁছে যায়। অনেকটা ওপর দিয়ে যাওয়ার পরেও আম্পায়ার ওয়াইড দেননি। ক্রিজের আম্পায়ার ওয়াইড না দেওয়ার পর ক্রুদ্ধভাবে ওয়েডকে দেখা যায় লেগ আম্পায়ারের কাছে ওয়াইডের আবেদন করতে। তবে দুই আম্পায়ারের কেউই ওয়েডের কলে সাড়া দেননি। ঠিক এক বল পরেই ওয়েড অর্শদীপকে লং অন দিয়ে হাঁকাতে গিয়ে শ্রেয়স আইয়ারের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে যান।
এখানেই আম্পায়ারের ভূমিকা প্ৰশ্নবিদ্ধ হয়নি। শেষ দুই বলে আরও নাটক অপেক্ষা করেছিল। ক্রিজে সেই সময় কোনও স্বীকৃত ব্যাটার ছিল না। শেষ দুই বলে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সমীকরণ দাঁড়ায় ৯ রানের। নাথান এলিস পঞ্চম বল সজোরে হাঁকান সোজাসুজি। তবে সেই বল অর্শদীপ সিংয়ের হাতে লেগে আম্পায়ারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। আম্পায়ার শেষ মুহূর্তে নিজেকে ধাবমান বলের কক্ষপথ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও পারেননি। বল তাঁর শরীরে লেগে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
এই জোড়া ঘটনাতেই ক্রুদ্ধ অজি শিবির। ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্য করছিলেন ম্যাথু হেডেন। তিনি ভয়ংকর অভিযোগে বলে দেন, "সকলেই দেখতে পাচ্ছে ওয়েড কেন অসন্তুষ্ট ছিল। এটা অবশ্যই ওয়াইড ছিল। ওঁর মাথার অনেক ওপর দিয়ে বল গেল। ওঁর ব্যাটিং পজিশনের দিকেও খেয়াল করা হোক। বলের লাইনে ছিল। তা স্বত্ত্বেও বল মাথার ওপর দিয়ে বেরিয়ে গেল।"
কমেন্ট্রি করার সময়ে এখানেই থেমে থাকেননি বিস্ফোরক এই অজি ওপেনার। নাথান এলিসের শট আম্পায়ারের গায়ে লাগা নিয়ে তাঁর আরও বক্তব্য, "এই ওভারে আম্পায়ার দ্বিতীয়বার নিজের কাজ করে গেলেন। স্কোয়ার উইকেটে নয়, উইকেটের ফ্রন্টে আম্পায়ার বল বাঁচিয়ে দিলেন। ওঁরা এখানে মোক্ষম সময়ে কাজের কাজ করে দিল।"
হতাশাজনক হারের পর ওয়েড আবার বলে দিয়েছেন, "দলকে জয়ের রাস্তায় নিয়ে আসতে না পারার জন্য মাথা ঠিকমত কাজ করছে না। আমরা তুলনামূলকভাবে ভালো বোলিং করেছি। এমন টার্গেটে ওঁদের বেঁধে রেখেছিলাম যে লক্ষ্যে আমাদের পৌঁছনো উচিত ছিল। এটাই আরও হতাশার। সিরিজের ফলাফল ৩-২ হলে ভালো হত।"
"ওপরের দিকে ব্যাট করার প্রলোভন ছিল। তবে ওয়ার্ল্ড কাপের কথা মাথায় রেখে আমাকে এরকম পরিস্থিতিতেই নামতে হবে। যেখানে দল চাইবে আমি ফিনিশিং লাইন টপকে দিই। জিতলে ভালো লাগত। বেন ম্যাকডামট দারুণভাবে ম্যাচে প্রত্যাবর্তন করেছে। বেহরনডর্ফ, দোয়ারসুইস, সাংঘা কঠিন সিচুয়েশনে ম্যাচের প্রভাব ফেলেছে।"