অস্ট্রেলিয়া: ২৭৬/১০
ভারত: ২৮১/৫
বিশ্বকাপের আগে অজি সিরিজ ভালভাবেই শুরু করল টিম ইন্ডিয়া। চণ্ডীগড়ে প্ৰথম ওয়ানডেতেই ভারত ৫ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়াকে। ২৭৭ রানের টার্গেট ভারত চেজ করল ৮ বল বাকি থাকতে। রুতুরাজ গায়কোয়াড (৭১) এবং শুভমান গিল (৭৪) ১৪২ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপে রান চেজ করা হাতের মুঠোতে এনে দেয়। মাঝে ৪ ওভারের মধ্যে ভারত দুই ওপেনার সহ শ্রেয়স আইয়ারকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন জাম্পা, কামিন্সরা। তবে সূর্যকুমার যাদব (৪৯ বলে ৫০) এবং ক্যাপ্টেন কেএল রাহুল (৫৮) ৮০ রানের জুটিতে ম্যাচ খতম করে দেন। শেষদিকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সূর্যকুমার যাদব আউট হয়ে গেলেও বাকি রান তুলতে সমস্যা হয়নি। শন আবটকে ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতের জয় এনে দেন রাহুল।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়াদের মত নিয়মিত তারকাদের বিশ্রাম দিয়ে ভারত নিজেদের রিজার্ভ বেঞ্চ পরীক্ষা করে নিচ্ছে এই সিরিজে। রোহিতের জায়গায় ওপেন করতে নেমে রুতুরাজ জাত চিনিয়ে গেলেন মার্শ, কামিন্স, জাম্পাদের সামনে। জোড়া হাফসেঞ্চুরি করে যান দুই ওপেনারই। ১৪২ রানের ওপেনিং জুড়িতে শেষমেশ ভাঙন ধরান জাম্পা। দুই সেট ব্যাটসম্যানকেই ফেরান তিনি। শ্রেয়স আইয়ারও দূর্ভাগ্যজনক রান আউট হয়ে যান। ঈশান কিষান এরপরে কেএল রাহুলের সঙ্গে ৩৪ রানের জুড়িতে বেশ স্বচ্ছন্দে খেলছিলেন। তবে কামিন্স ঈশানকে ফিরিয়ে ফের ঝটকা দেন।
অল্প সময়ের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারানোর পর ভারতের ইনিংসে হঠাৎ সংশয় হাজির হয়েছিল। তবে কেএল রাহুল-সূর্যকুমারের পার্টনারশিপে যাবতীয় শঙ্কা দূর হয়ে যায়।
তার আগে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিংকে টানে ডেভিড ওয়ার্নারের দুর্ধর্ষ হাফসেঞ্চুরি। মিচেল মার্শকে শুরুতে মহম্মদ শামি ফিরিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে ওয়ার্নার-স্মিথ জুটি ৯৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এরপরে মাঝের ওভারে ভারতকে ম্যাচে ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা এবং একমেবাদ্বিতীয়ম মহম্মদ শামি। বারবার দুজনে ব্রেক থ্রু দিয়ে অজি ইনিংসকে বেপথু করে দিয়েছেন দুজনে।
মার্নাস লাবুশানে অশ্বিনের বলে অদ্ভুত স্ট্যাম্প আউট হয়ে যান। এরপরে বৃষ্টি নামে। ম্যাচ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। শেষদিকে ক্যামেরন গ্রিন এবং জস ইংলিশ অজিদের টানছিলেন। তবে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে এই পার্টনারশিপে ইতি ঘটে।
মার্কাস স্টোয়িনিস এরপরের জস ইংলিশের সঙ্গে পার্টনারশিপে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটেন। ৪৩ বলে ৬২ রানের জুটি শেষমেশ থামান মহম্মদ শামি। ফেরান স্টোয়িনিসকে। ৪৯তম ওভারে শামি দুই উইকেট নিয়ে নিজের ইনিংসে পাঁচ উইকেটের কোটা পূরণ করেন। শেষের দিকে ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স ৯ বলে ২১ রান যোগ করে যান জোড়া বাউন্ডারি, একটা ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে। ঝোড়ো ইনিংসে কামিন্স ২৭৬-এ দলকে পৌঁছে দেন। অজি ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন আডাম জাম্পা।