হওয়ার কথা ছিল নায়ক। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও হয়ত জুটত তাঁর হাতে। তবে কেএল রাহুল ম্যাচ শেষে হওয়ার আগেই খলনায়ক হয়ে গেলেন। জেতা ম্যাচ ভারতকে হারিয়ে দিলেন সহজ ক্যাচ ফেলে। যেটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াল।
ভারত মীরপুরের পিচে মাত্র ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। আর মন্থর পিচেই ভারতকে বেঁচে তোলার অক্সিযেন জুগিয়ে গিয়েছিল রাহুলের ব্যাটিং। রাহুলের ৭৩ বলে ৭০ রানের ইনিংস ভারতকে বড়সড় বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করে টু-পেসড উইকেটে লড়াই করার রসদ জুগিয়েছিল।
আরও পড়ুন: শের-ই বাংলায় ভারতকে ‘বিড়াল’ বানালেন মেহেদি, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ উইকেটে জয় বাংলাদেশের
সেই রান ডিফেন্ড করতে নেমে ভারতীয় বোলাররা স্মরণীয় পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে বাংলাদেশকে ১৩৬/৯-এ ধসিয়ে দিয়েছিল। বাকি ছিল ১ উইকেট। তবে সেই শেষ উইকেট আর ফেলতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। মেহেদি হাসান মিরাজ শেষ উইকেটে মুস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গী করে বাংলাদেশকে জিতিয়ে দেন ৫১ রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপে।
আর শেষ জুটিতেই মেহেদিকে আউট করার মোক্ষম সুযোগ পেয়েছিল ভারত ৪৩তম ওভারে। শার্দূল ঠাকুরের ডেলিভারি মেহেদির টপ এজে লেগে ফাইন লেগের দিকে উড়ে যায়। কেএল রাহুল নিজে দায়িত্ব নিয়ে ক্যাচ ধরার কল করেন। তবে সহজ লোপ্পা ক্যাচ তিনি মিস করে বসেন। জীবন পেয়ে আর ফিরে তাকাতে হয়নি মেহেদিকে। ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
বিরাট কোহলি যেমন অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় সাকিব আল আল হাসানকে ক্যাচে ফেরান। সেরকম তীক্ষ্ণতা বাকিদের মধ্যে অদৃশ্য। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্ৰথম ওয়ানডেতে কার্যত ফিল্ডিংও হারিয়ে দিল ভারতকে।
আরও পড়ুন: একহাতে বাজপাখি, অবিশ্বাস্য ক্যাচে জন্টিকে মনে করালেন কোহলি, দেখুন রুদ্ধশ্বাস ভিডিও
শুধুমাত্র কেএল রাহুলের লোপ্পা ক্যাচ মিস করাই নয়, তার পরের বলেই মেহেদি আরও একবার জীবন পান। এবার থার্ড ম্যানের দিকে ক্যাচ তোলেন তিনি। যেখানে ফিল্ডিং করছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তবে সুন্দর উঁচুতে ওঠা ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি, সম্ভবত ফ্লাডলাইটের আলোয় চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল তাঁর।