ভারত: ৩৭৬/১০
বাংলাদেশ: ১৪৯/১০
IND vs BAN: যা হওয়ার ছিল। সেটাই হল। চেন্নাইয়ে দুর্বল বাংলাদেশকে নিয়ে ছেলেখেলা করছে ভারত। ভারতের ৩৭৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ মাটি ধরল মাত্র ১৪৯ রানে। পুরো ৫০ ওভার-ও ব্যাট করতে পারল না বাংলাদেশ। ৪৭ ওভারেই খতম টাইগারদের জারিজুরি। লাঞ্চের আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ওপার বাংলার ক্রিকেটাররা।
দ্বিতীয় সেশনেই খতম হয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০-র কোটা পেরোনো ব্যাটার মাত্র ৪। সর্বোচ্চ স্কোর সাকিব আল হাসানের- ৩২। ক্রিজে সবথেকে স্বচ্ছন্দ মনে হচ্ছিল মেহেদি হাসান মিরাজকে। তিনি ২৭ রানে ক্রিজে অপরাজিত থাকলেও অন্যপ্রান্তে সবাই আউট হয়ে যান।
জসপ্রীত বুমরা পাঁচ উইকেটের সুযোগ হাতছাড়া করেন। বুমরার ৪ উইকেটের পাশাপাশি দুটো করে উইকেট নেন আকাশ দীপ, সিরাজ এবং রবীন্দ্র জাদেজা। ২২৭ রানের লিড সমেত ভারতের সামনে সুযোগ ছিল ফলো অন করানোর। তবে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে। গরমে ফিল্ডিংয়ের ধকল নেয়নি ইন্ডিয়া। তীব্র গরমে বাংলাদেশিদের খাটানোর উদ্দেশ্য স্পষ্ট।
টানা উইকেট পতনের মুখে বাংলাদেশের হয়ে কিছুটা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা হয়েছিল লিটন দাস-সাকিব আল হাসানের পার্টনারশিপে ভর করে। আগুন ভারতীয় বোলারদের ক্ষনিকের জন্য রুখে দিয়েছিলেন লিটনরা। রবীন্দ্র জাদেজার বলে সুইপ করতে গিয়ে ফেরেন লিটন।
৫৪ রানের দুজনের পার্টনারশিপ খতম হওয়ার পর চা বিরতির আগেই বাংলাদেশকে কার্যত শুইয়ে দেয় ভারত। সাকিব আল হাসানও জাদেজাকে সুইপ করতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন। হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে কোনওরকমে লড়ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
তবে একদম শেষ ওভারে বুমরার শিকার হয়ে হাসান মাহমুদ আউট হওয়ার পরই টি ব্রেকে বাংলাদেশ ধসে গিয়েছিল ১২৮/৮-এ। তারপর তৃতীয় সেশনের শুরুতেই বাংলাদেশ বাকি দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪৯ রানে।
লাঞ্চের ঠিক আগেই হাসান মাহমুদকে আউট করে বুমরা ষষ্ঠ ভারতীয় পেসার হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০০ উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন। এর আগে এই তালিকায় রয়েছেন যথাক্রমে কপিল দেব (৬৮৭ উইকেট), জাহির খান (৫৯৭ উইকেট), জাভাগল শ্রীনাথ (৫৫১ উইকেট), মহম্মদ শামি (৪৪৮ উইকেট), ইশান্ত শর্মা (৪৩৪ উইকেট)।