বাংলাদেশ: ২৭১/৭
ভারত: ২৬৬/৯
ভাঙা হাতে বিরাট কোহলি হতে পারলেন না রোহিত শর্মা। আঙুল চিড় খেয়ে রক্তারক্তি কান্ড ঘটে গিয়েছিল ম্যাচের আগে। ব্যাট করতে নামেননি। তবে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে ব্যাট হাতে নেমে কার্যত হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছিলেন রোহিত। তবে পারলেন না। বাংলাদেশের ২৭২ রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে ভারত শেষ পর্যন্ত থামল ২৬৬/৯-এ। ৫ রানে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিল।
২৭২ রান চেজ করতে নেমে আহত রোহিতের জায়গায় ওপেন করতে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। তবে ওপেন করতে নেমে বিরাট-ধাওয়ান বেশিদূর টানতে পারেননি দলকে। প্ৰথম তিন ওভারের মধ্যেই ভারতের দুই ওপেনার আউট হয়ে যান। চারে নামা ওয়াশিংটন সুন্দর, পাঁচে কেএল রাহুল ফিরে যান সাত তাড়াতাড়ি। ৬৫/৪ হয়ে গিয়ে ভারত কার্যত প্ৰথম রাউন্ডেই ম্যাচ হেরে বসেছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের চিকিৎসায় ভরসা নেই, অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে মুম্বইয়েই ফিরে আসছেন রক্তাক্ত রোহিত
পঞ্চম উইকেটে ভারতকে ম্যাচে ফেরান শ্রেয়স আইয়ার (১০২ বলে ৮২), অক্ষর প্যাটেল (৫৬ বলে ৫৬) জুটি। দুজনে ১০৭ রান যোগ করে ভারতকে ম্যাচে ভালোভাবে ফিরিয়ে আনেন। এবাদত হোসেন এই জুটিতে ভাঙন ধরান। এরপরে দ্রুত ভারত ২১৩/৮ হয়ে গিয়ে লজ্জার হারের মুখে গিয়ে দাঁড়ায়।
এমন অবস্থাতেই রোহিত-ক্ল্যাসিক। শেষ চার ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪০ রান। রোহিত কার্যত একার হাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন। ৪৬ তম ওভারে এবাদত হোসেনকেই পিটিয়ে তোলেন ১৮ রাম। ৪৯ তম ওভারে রোহিতের ব্যাট ঝলসে উঠে যোগ করে যায় আরও ২০ রান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২০ রান। মুস্তাফিজুরের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে বাউন্ডারি এবং পঞ্চম বলে ওভার বাউন্ডারি হাঁকানোর পর জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ৬ রান। তবে বাংলাদেশি পেসারের স্লোয়ার ইয়র্কার এই বাউন্ডারির বাইরে ফেলতে পারেননি হিটম্যান। আসলে ৪৭ তম ওভারে মেহেদি মাত্র ১ রান খরচ করার পরে ৪৮ তম ওভারে মুস্তাফিজুরকে মেডেন উপহার দেন মহম্মদ সিরাজ। সেখানেই ফারাক হয়ে গেল। রোহিতের ২৮ বলে ৫১ রানের বিষ্ফোরক ইনিংসও দিনের শেষে কাজে আসেনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ম্যাচে রক্তাক্ত রোহিত! ভয়ঙ্কর বিপদে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে ছুটতে হল তারকাকে
তার আগে লিটন দাস টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশি টপ অর্ডার ভেঙে দেন সিরাজ, উমরান, ওয়াশিংটন। ৬৯/৬ হয়ে যাওয়ার পরে বাংলাদেশকে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন প্ৰথম ম্যাচের নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ এবং মাহমুদুল্লাহ। দুজনে সপ্তম উইকেটে ১৪৮ রান যোগ করে যান। তার দুজনের জুটিতে যখন ভাঙন ধরান উমরান মালিক, তখন বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। ৮৩ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদি হাসান। মাহমুদুল্লাহ ৭৭ করে যান।