চা বিরতিতেই বাংলাদেশ সাত উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। তারপরে ব্যাট করতে নেমে আধঘণ্টাও টিকতে পারল না বাংলাদেশ। পাঁচ ওভারের মধ্যেই বাকি তিন উইকেট হারিয়ে ফেলল ওপার বাংলার ক্রিকেটাররা। যদিও হ্যাটট্রিক হল না মহম্মদ শামির। চা বিরতির আগের ওভারের শেষ দু-বলে পরপর ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মেহদি হাসান মিরাজকে। হ্যাটট্রিকের জন্য চা বিরতির পরের ওভারের প্রথম বলেই শামির প্রয়োজন ছিল আর একটি মাত্র উইকেট। তা অবশ্য হয়নি।
আসলে টি২০ সিরিজের হারের হ্যাংওভার এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি না বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শুরুটা যথাসম্ভব ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন বাংলাদেশিরা। ভারতীয় বোলারদের সামনে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের প্রতিরোধ কার্যত প্রথম দুই সেশনে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল।
বল হাতে আগুন ঝড়ালেন শামি। একাই নিলেন তিন-তিনটে উইকেট। অশ্বিন, উমেশ এবং ইশান্ত দুটো করে উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশি ইনিংসে একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর। তবে ৪৩ রানে মহম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে মুশফিকুর রহিম প্যাভিলিয়নে ফেরার পরেই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশিদের শোচনীয় ব্যাটিং ব্যর্থতা।
ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দুঃস্বপ্নের শুরু প্রথম থেকেই। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই উমেশ যাদবের বলে ইমরুল কায়েসের ফিরে যাওয়া। সেই শুরু। তারপরে ক্রিজে কোনও ব্যাটসম্যানই থিতু হতে পারেননি।
বিরাট কোহলি ম্যাচের আগের দিনেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিন পেসারেই দল সাজাতে পারেন। সেই ফর্মুলা মেনেই পাঁচ বোলারে খেলছে ভারত। দুই স্পিনার ও তিন পেসার। উমেশ, ইশান্তের সঙ্গে পেস বিভাগে সামি এবং জাদেজা-অশ্বিনের জোড়া ঘূর্ণির ফলা। সেই পাঁচ বোলারই প্রথম থেকে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের উপরে চড়াও হলেন।
লাঞ্চের আগেই বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ৬৩ তুলতে না তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। ফিরে গিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস (৬), সাদমান ইসলাম (৬) এবং মহম্মদ মিঠুন (১৩)। ক্রিজে টিকে যাওয়া অধিনায়ক মোমিনুল হককে ফেরান অশ্বিন। অশ্বিনের স্পিন বুঝতে না পেরে সরাসরি বোল্ড হয়ে গিয়েছিলেন। তারপরে মাহমুদ্দুল্লা নামলেও ১০-এর বেশি করতে পারেননি।
লিটন দাসের সঙ্গে বাংলাদেশি ইনিংসের উদ্ধার কার্য চালাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। হাফসেঞ্চুরির দোড়গোড়ায় তিনি আউট হয়ে যান শামির বলে।
Read the full live article in ENGLISH