Taskin Ahmed, IND vs BAN: গোয়ালিয়রে প্ৰথম টি২০-তে হারের পর ক্যাপ্টেন শান্ত প্রকাশ্যে বলে দিয়েছিলেন, ১৮০ করার মত সামর্থ্য তাঁদের নেই। বুধবার দ্বিতীয় টি২০-তেও শোচনীয়ভাবে হারের পর একই কথার যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেল তাসকিন আহমেদের গলায়। বলে দেন, ভালো স্কোর তাঁদের সামর্থ্যের বাইরে। কারণ দেশে মোটেই ভালো পিচে খেলার সুযোগ পান না তাঁরা।
৮৬ রানে দিল্লিতে টি২০-র দ্বিতীয় ম্যাচে হার এবং সিরিজ হারের ধাক্কা হজম করে তাসকিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলে দিয়েছেন, "ওঁরা নিয়মিতভাবে ১৮০-২০০ রান স্কোরবোর্ডে তোলে। যেটা আমাদের কাছে ঘরের মাঠে ১৩০-১৪০। বড় রান করা আমাদের অভ্যেস নেই। এটাই বাস্তবতা।"
"আশা করি আগামী দিনে আমাদের হোম কন্ডিশন আরও ভালো হবে। তখন আমরা স্কোরবোর্ডে বড় রান চেজ করার পাশাপাশি ডিফেন্ডও করতে পারব। একইভাবে আমরা যদি বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার সুযোগ পাই, তাহলে অভিজ্ঞতা বাড়ানোর সুযোগ পাব। ঘরোয়া ক্রিকেটের মান উন্নতি হলেই আমাদের ক্রিকেট এগোবে।"
নীতিশ রেড্ডির ক্যাচ মিস
তাসকিন আরও বললেন, নীতিশ রেড্ডির ক্যাচ মিস করার মূল্য তাঁদের চোকাতে হয়েছে। তানজিম সাকিবের বলে পুল হাঁকাতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল উইকেটের পিছনে চলে যায়। তবে তা সময় মত তালুবন্দি করতে পারেননি উইকেটকিপার লিটন দাস। সেই সময় মাত্র ৫ রানে ব্যাট করছিলেন নীতিশ রেড্ডি। তবে জীবন পাওয়ার পর তার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করে যান নীতিশ রেড্ডি।
দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে মাত্র ২৭ বলেই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে যান সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলা তারকা। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৭৪ করে মাঠ ছাড়েন তিনি। তাসকিন বলেছেন, "ভারতের মত বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে ক্যাচ মিস করা সবসময় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। ওঁদের ক্ষেত্রে ভুল ভ্রান্তির পরিমাণ একদম কমাতে হয়। তাই এটা আমাদের ভুগিয়ে গেল।"
"পাওয়ার প্লেতে আমরা ভালোই খেলেছি। তবে ওঁরা শেষ পর্যন্ত ভালো ব্যাটিং করে গেল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের স্পিনারদের জন্য দিনটা ভালো যায়নি। সাধারণত আমাদের স্পিনাররা এত খারাপ দিন নিয়ে আসেন না। তবে টি২০-তে যে কোনও দিন যে কোনও কিছু ঘটতে পারে। শিশিরের জন্য স্পিনাররা বল ঠিকমত গ্রিপ করতে পারেনি। ১১-১২ ওভার পর্যন্ত-ও আমরা ম্যাচে ছিলাম। যদি ওঁদের ১৮০-এর মধ্যেও আটকে রাখতে পারতাম, সেটা চেজ করা সম্ভব ছিল। আমরা বেশি রান চেজ করতে পারিনি, সেটা আমাদের ব্যর্থতা। তবে উইকেট ব্যাট করার জন্য একদম আদর্শ ছিল।"
READ THE FULL ARTICLE IN ENGLISH