ভারত: ২২১/৯
বাংলাদেশ: ১৩৫/৯
India vs Bangladesh 2nd T20I Match Report: গোয়ালিয়রেই শোচনীয়ভাবে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। নতুন দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সুখ স্মৃতি ফেরাতে মাঠে নেমেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে সামর্থ্যে আবারও কুলিয়ে উঠতে পারল না টাইগার শিবির। আরও একবার লজ্জাজনকভাবে হেরে টি২০ সিরিজেও এবার হোয়াইটওয়াশ হওয়ার মুখে বাংলাদেশ। দিল্লিতে ভারত ২-০ করে ফেলার পর হায়দরাবাদে এবার সূর্যকুমাররা নামবেন টেস্টের পর টি২০-তে হোয়াইটওয়াশ করার জন্য।
আগের ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং করেও ৪৭ বল হাতে জয়ে পৌঁছেছিল ভারত। এবার ভারত শুরুতে ব্যাটিং করায় লজ্জার মাত্রা সম্ভবত আরও বেশি। এবারের হারের ব্যবধান ৮৬ রানের। নীতিশ রেড্ডি বাদ দিয়ে এমনিতেও ভারতের বাকি ব্যাটাররা নিজেদের সেরা ছন্দে মেলে ধরতে পারেননি নিজেদের। তাতেই ভারত ২২২ রানের টার্গেট চাপিয়ে দিয়েছিল টাইগার শিবিরে।
সেই রান চেজ করে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ধসে গেল মাত্র ১৩৫ রানে। প্ৰথম টি২০-তে বাংলাদেশের সংগ্রহে ছিল ১২৭ রান। দ্বিতীয় টি২০-তে আরও ৮ রান বেশি করল তাঁরা। সেই সঙ্গে ৯ উইকেট হারালেও কোনওরকমে অলআউট হওয়া থেকে বাঁচল টিম টাইগাররা। এটুকুই যা ছিল দিল্লিতে বাংলাদেশের সান্ত্বনা।
That stare! 🥶🥶🥶#IDFCFirstBankT20Trophy #INDvBAN #ArshdeepSingh #JioCinemaSports pic.twitter.com/GwRA6WePfV
— JioCinema (@JioCinema) October 9, 2024
অর্শদীপ সিংয়ের প্ৰথম ওভারে ১৫ রান তুলে দিয়েছিলেন ওপেনার ইমন। তবে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই অর্শদীপ ফেরান সেই ইমনকেই। তারপরে যথারীতি তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে শেষ হতে না হতেই বাংলাদেশ ৪৬/৪ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে মেহেদি মিরাজ-মাহমুদুল্লাহর ৩৪ রানের ছোটখাটো পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাদেশের লজ্জার পরিমাণ একটু ছোট করতে সাহায্য করে।
HARDIK UNBELIEVABLE PANDYA! 🤯🤯😱😱#IDFCFirstBankT20Trophy #INDvBAN #HardikPandya #JioCinemaSports pic.twitter.com/gZMPi0bVzn
— JioCinema (@JioCinema) October 9, 2024
রিয়ান পরাগকে হাঁকাতে গিয়ে মিরাজ ফেরার পরেই দ্রুতই বাংলাদেশ ৮০/৪ থেকে ৯৩/৭ হয়ে যায়। মাহমুদুল্লাহ শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৪১ করে কোনওরকমে দলের দলগত একশো রান পৌঁছনো নিশ্চিত করে যান। ছেলেখেলার মেজাজে সূর্যকুমার এদিন অভিষেক শর্মা, রিয়ান পরাগদের মত অনিয়মিত বোলারদের পরখ করে নেন। হার্দিক পান্ডিয়াকে বল হাতে ব্যবহার না করলেও ৭ বোলার ব্যবহার করেন ক্যাপ্টেন স্কাই। তাতেই ছলকে যায় টাইগাররা।
টসে জিতে শিশির ফ্যাক্টরের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ শুরুতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠাতে দ্বিধা করেনি। পাওয়ার প্লে-তেও স্বপ্নের সূচনা হয়েছিল টাইগার শিবিরের। শুরুতে বোলিং ওপেন করেছিলেন মেহেদি মিরাজ। তবে প্ৰথম ওভারেই ১৫ রান খরচ করে বসেন তারকা অলরাউন্ডার। তবে এরপরে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুলের জায়গায় নামা তানজিম সাকিব।
তাসকিন দ্বিতীয় ওভারেই সঞ্জুকে তুলে নেওয়ার পর অভিষেক শর্মা প্লেড অন হয়ে যান সাকিবের ১৪৫+ গতির সামনে। তিন নম্বরে নামা সূর্যকুমার যাদব আবার মুস্তাফিজুরের স্লোয়ারে ঠকে গিয়ে ফেরেন। ৪৫/৩ হয়ে গিয়ে যখন বেশ চাপে সেই সময় টিম ইন্ডিয়া, সেই সময়েই নীল জার্সি ধারীরা ম্যাচে ফেরে নীতিশ রেড্ডি এবং রিঙ্কু সিংয়ের পার্টনারশিপে ভর করে।
God's plan indeed for Rinku Singh! 🫶🏻💙#IDFCFirstBankT20Trophy #INDvBAN #JioCinemaSports pic.twitter.com/miIrvIRXY4
— JioCinema (@JioCinema) October 9, 2024
দুজনে শুরুতে সতর্ক ছিলেন। তবে ক্রিজে একবার জমে যাওয়ার পর তান্ডব চালিয়ে যান। নীতিশ রেড্ডি বিধ্বংসী মেজাজে মাত্র ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ১০৮ রানের পার্টনারশিপে বেশি আগ্রাসী ছিলেন নীতিশ রেড্ডিই। ডিআরএস নিয়মে আম্পায়ার্স কলে একবার বাঁচেন নীতিশ। তারপরেই ছেলেখেলা শুরু করেন রিশাদ, মুস্তাফিজুরদের নিয়ে।
Adhem kottudu bhayya? 😅🔥#IDFCFirstBankT20Trophy #INDvBAN #NitishKumarReddy #JioCinemaSports pic.twitter.com/UAY7xDLhiT
— JioCinema (@JioCinema) October 9, 2024
শেষমেশ মুস্তাফিজুরের বলে যখন তিনি ফেরেন, তাঁর নামের পাশে ৩৪ বলে ৭৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। নিজের প্ৰথম আন্তর্জাতিক ফিফটি করার পথে নীতিশ হাঁকান চারটে বাউন্ডারি, সাতটা বিশাল ছক্কা। নীতিশ আউট হওয়ার পর রুদ্রমূর্তি ধরেন রিঙ্কু সিং। তিনি ফিফটি করতে নেন নীতিশের থেকেও এক বল কম, ২৬। রিঙ্কু ২৯ বলে ৫৩ করে আউট হয়ে গেলেও ভারত যে দুশো পেরোতে চলেছে, তা তখনই চূড়ান্ত হয়ে যায়।
Grab your 🍿 It's time for the Rinku Singh Show! 😎💥#IDFCFirstBankT20Trophy #INDvBAN #JioCinemaSports pic.twitter.com/f8h7fJMgG5
— JioCinema (@JioCinema) October 9, 2024
হার্দিক পান্ডিয়া নিজের সেরা ফর্মে না থাকলেও ১৯ বলে ৩২ করেন। রিয়ান পরাগের ৬ বলে ১৫ রানের ক্যামিও-ও ভারতের বড় স্কোরে অবদান রাখেন। রিশাদ হোসেন শেষ ওভারে টেল এন্ডারদের বিপক্ষে তিনটে উইকেট নিলেও পুরো চার ওভারের কোটায় সবথেকে খরুচে ছিলেন তিনিই। ৫৫ রান খরচ করে বসেন। তানজিম সাকিব শুরুর ওভারে আশা জাগালেও খরচ করেন ৫০ রান।
একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দেন সিনিয়র তারকা। নেন দুই উইকেট। মুস্তাফিজুর এবং সাকিবও নেন ২ টো করে উইকেট।