বাংলাদেশ: ২২৭/১০, ২৪১/১০
ভারত: ৩১৪/১০, ১৪৫/৭
হেরে যাওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মীরপুরে ১৪৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারত একসময় ৭৪/৭ হয়ে গিয়ে লজ্জার হারের মুখে দাঁড়িয়েছিল। তবে শেষমেশ ভারতকে উদ্ধার করেন শ্রেয়স আইয়ার (২৯) এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৪২)। লাঞ্চের আগেই প্রয়োজনীয় রান স্কোরবোর্ডে তুলে ভারত সিরিজে রবিবার ২-০ করে ফেলল।
তৃতীয় দিনের শেষে ভারত ৪৫ রান তোলার ফাঁকেই ৪ উইকেট খুঁইয়ে ফেলেছিল। ভারতের দরকার ছিল ১০০ রান। বাংলাদেশের সিরিজে সমতা ফেরাতে দরকার ছিল বাকি ৬ উইকেট। জয়দেব উনাদকাট নাইটওয়াচম্যান হিসাবে খেলতে নেমে দিনের শুরুতেই সাকিবের বলে লেগ বিফোর হয়ে যান। নষ্ট করেন একটি ডিআরএস-ও।
ঋষভ পন্থ এরকম টার্নিং স্লো ট্র্যাকে বারবার ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। তিনি এদিন সাকিবকে সুইপ, রিভার্স সুইপ করে বাংলাদেশকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিলেন। তবে শেষমেশ পন্থকে থামান মেহেদি হাসান। তাঁর স্ট্রেটারে ঠকে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তারকা।
বিরাট কোহলির আগে মীরপুরে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল অক্ষরকে। তিনি কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস (৩৪) উপহার দিয়ে গেলেন চাপের মুখে। সেই অক্ষরেরও প্রতিরোধ চূর্ণ হয়ে যায় মেহেদির স্পিনে।মেহেদি হাসান মিরাজ অক্ষর প্যাটেলের স্ট্যাম্প ছিটকে দিতেই ভারতের হারের শঙ্কা জাঁকিয়ে বসে।
মেহেদি হাসান বারবার বাংলাদেশের ব্যাটে-বলে ত্রাতা হয়ে উঠছেন। এদিনও ভারতীয় ইনিংসে একা কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন তরুণ তুর্কি। তবে একইসঙ্গে মুমিনুল হক ব্যাট হাতে রান পেলেও মোক্ষম সময়ে জোড়া ক্যাচ মিস করেন। পূজারা এবং বিরাট কোহলি দুজনেরই ক্যাচ ছাড়েন তিনি।
লজ্জা এড়ানোর জন্য কোনও ব্যাটসম্যানকে এগিয়ে আসতেই হত। সেই কাজটিই করলেন শ্রেয়স আইয়ার। ভয়ঙ্কর হওয়া মেহেদিকে যেমন বাউন্ডারি পাঠালেন অনায়াসে, তেমন সাকিবকেও ছেড়ে কথা বললেন না তিনি। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সহায়তা করলেন অশ্বিনও। কুলদীপ যাদবকে বসিয়ে অক্ষর-অশ্বিনকে খেলানো নিয়ে অনেক কথা হচ্ছিল। তবে দুজনেই লো স্কোরিং ম্যাচে ব্যাট হাতে মূল্যবান অবদান রেখে গেলেন।
৭৪/৭ এ পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকে শ্রেয়স এবং অশ্বিনের ব্যাটে ভর করেই শেষমেশ ১৪৫ রানের গন্ডি পেরোয় ভারত। দুজনে অষ্টম উইকেটে অবিচ্ছেদ্য ৭১ রানের পার্টনারশিপে দলকে জিতিয়ে দিলেন।