India vs Bangladesh 2nd Test Match Report: বাংলাদেশ: ২৩৩/১০ এবং ১৪৬/১০ ভারত: ২৮৫/৯ এবং ৯৫/ অবিশ্বাস্য। অলৌকিক। মাত্র দুদিনেই খেলা খতম করে ফেলল ভারত। প্ৰথম দিন দুটো সেশন এবং দ্বিতীয়-তৃতীয় দিন বৃষ্টি-ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল। ধরে নেওয়া হয়েছিল নিশ্চিত ড্রয়ের পথেই এগোবে কানপুর টেস্ট।
তবে চতুর্থ দিন খেলার সম্ভবনা তৈরি হতেই সেই ভাবনায় জল ঢেলে দেয় টিম ইন্ডিয়া। নিশ্চিত ড্র যে ম্যাচের ভবিতব্য, সেই ম্যাচ ভারত শেষ করল মাত্র ছয়টা সেশনের মধ্যেই। লাঞ্চের ঠিক পরেই বাংলাদেশের প্ৰথম ইনিংস মুড়িয়ে দেওয়ার পর ভারত হৈ হৈ রৈ রৈ করে যে ব্যাটিং করে গেল একটা সেশনের মধ্যে, সেখানেই ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে যায়।
৫২ রানে প্ৰথম ইনিংসে এগিয়ে থাকা অবস্থায় রোহিত ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন পড়ন্ত বেলায় বাংলাদেশি ইনিংসের ধসের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য। সেটাই হয়েছিল। ওপেনার জাকির হাসান এবং নাইটওয়াচম্যান হাসান মাহমুদ আউট হওয়ার পর ভয়ঙ্কর অশ্বিন এবং বুমরার সামনে কোনওরকমে গড় রক্ষা করেছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম এবং প্ৰথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ন মমিনুল হক।
পঞ্চম দিনে ভারতকে আটকাতে হলে তিনটে সেশন টানা ব্যাটিং করতে হত। দুর্বল বাংলাদেশ যে তা করতে পারবে না, তা যেন নিশ্চিতই ছিল। আর বাংলাদেশের ইনিংস মুড়িয়ে দিতে ভারতের লাগল মাত্র ৪৭ ওভার। অর্থাৎ চতুর্থ দিনের তৃতীয় সেশনে ১১ ওভার বাদ দিয়ে বাংলাদেশ বাকি ৮ উইকেট হারাল পঞ্চম দিনে ৩৬ ওভারেই। লাঞ্চের আগেই বাংলাদেশের ইনিংস খতম, টাটা, বাই বাই।
দিনের শুরুটা সদর্থক ভঙ্গিতে শুরু করেছিলেন মমিনুল এবং সাদমান ইসলাম। তবে গতকালের রানের সঙ্গে আর মাত্র ১০ রান যোগ করার পরেই অশ্বিনের শিকার হয়ে ফেরেন মমিনুল। পঞ্চম উইকেটে ভারতের হতাশা কিছুটা বাড়িয়ে ৫৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেছিলেন ওপেনার সাদমান এবং ক্যাপ্টেন শান্ত।
তবে রবীন্দ্র জাদেজা আক্রমণে এসে প্ৰথম ওভারেই তুলে নেন শান্তকে। এরপরে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। বাংলাদেশ শেষ ৭ উইকেট হারায় ৫৫ রান যোগ করার ফাঁকে। সাদমান কোনওরকমে হাফসেঞ্চুরি করে আউট হয়ে যান। শেষদিকে টেলএন্ডার দের নিয়ে মুশফিকুর ৩৭ রানে একা লড়াই করছিলেন। তাঁকেও ফেরান বুমরা।
বুমরা শুরুর স্পেলে উইকেট না পেলেও পরে এসে মুশফিকুর সমেত মোট ৩ উইকেট শিকার করে যান। প্ৰথম ইনিংসের মত মুশফিকুরকে দ্বিতীয় ইনিংসেও বোল্ড করলেন বুমরা। জাদেজা এবং অশ্বিনও তিনটে করে শিকার করে যান। ভারতের টার্গেট ছিল মাত্র ৯৫ রানের। ৬০ ওভারেরও বেশি ওভার বেঁচে ছিল ভারতের জন্য।
তবে ভারত খেলা খতম করল মাত্র ১৭.২ ওভারেই। যশস্বী জয়সওয়াল ওয়ানডের মেজাজে আরও একটা হাফসেঞ্চুরি করে গেলেন। রোহিত শর্মা, শুভমান গিল সাত তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলেও ভারতের ৭ উইকেটে জয় পেতে সমস্যা হয়নি।