ভারত: ৩৪৭/৯
বাংলাদেশ: ১০৬/১০ ও ১৯৫/১০
পোস্টমর্টেম দু-দিনেই সারা হয়ে গিয়েছিল। রিপোর্টটাই যা আসা বাকি ছিল। দু-দিন পেরিয়ে খেলা তৃতীয় দিনে নিয়ে যাওয়াই চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের কাছে। সেই লক্ষ্যে সফল হলেও গোলাপি বলে প্রথমবার টেস্টে লজ্জার পরিমাণ একটুও কমছে না। তৃতীয় দিন খেলা গড়াল ঘড়ির কাঁটা ধরে ৪৭ মিনিটে। ম্যাচের আড়মোড়া ভাঙার আগেই ম্যাচ শেষ।
মুশফিকুর এক প্রান্তে টিকে ৭৪ করলেও বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ডাবলসেঞ্চুরিও করতে পারল না। বাংলাদেশ শেষ ১৯৫ রানে। প্রথম ইনিংসে ৩০ওভারে অলআউট হয়ে গেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে সামান্য উন্নতি ঘটিয়ে ৪০ ওভার পর্যন্ত খেলল ভারত। ভারতের জয় এল ইনিংস ও ৪৬ রানে। এই নিয়ে টানা দুটো টেস্টেই ইনিংসে হারল বাংলাদেশ। ম্যাচ ও সিরিজ দুইয়েরই সেরা ইশান্ত শর্মা। এই টেস্টে ৯ উইকেট নিলেও ম্যাচ সেরার লড়াইয়ে ছিলেন কোহলিও। জাতীয় দলের জার্সিতে গোলাপি বলের টেস্টে প্রথম শতরানের জন্য়। তবে দুরন্ত বোলিংয়ে ক্যাপ্টেনকে টেক্কা দিলেন ইশান্ত।
মাহমুদ্দুল্লা গতকালই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। তৃতীয় দিন তিনি খেলতে নামেন কিনা, সেটাই ছিল দেখার। তবে তিনি নামেননি। উমেশ যাদবের বলে মুশফিকুর জাদেজার হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার পরে ইনিংস শেষ হওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। তারপরে আল আমিন হোসেনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে একাই ফিনিশ করে দেন উমেশ। এদিন হতাশ হয়ে শুরু থেকেই আগ্রাসী খেলার চেষ্টা করছিলেন মুশফিকুর। এতেই বিদায় ত্বরান্বিত হল তাঁর। উমেশ যাদবের বল হাওয়ায় খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন তিনি। আবু জায়েদ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ২ বলে ২ রান করে।
মহম্মদ শামি, অশ্বিনকে এদিন ব্য়বহারের প্রয়োজনই পড়ল না। উমেশ যাদব বাকি তিন উইকেট একাই দখল করে নেন এদিন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার পরে ইশান্ত দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪ উইকেট দখল করলেন। উমেশ নিলেন ৫ উইকেট।
Read full LIVE Blog in ENGLISH