ভারত: ৪০৪/১০, ২৫৮/২
বাংলাদেশ: ১৫০/১০, ৩২৪/১০
পঞ্চম দিনে খেলা পুরো এক ঘন্টাও গড়াল না। বাংলাদেশের বাকি চার উইকেট তুলে নিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। বাংলাদেশ শেষদিনে বাংলাদেশকে জয়ের জন্য তুলতে হত পাহাড়প্রমাণ ২৪১ রান। অন্যদিকে, ভারতের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ উইকেট। এমন অবস্থায় খেলতে নেমে মাত্র ৫০ মিনিটে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংসের নটে গাছ। ভারতের জয় এল ১৮৮ রানের বিরাট ব্যবধানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে দুই স্পিনার অক্ষর প্যাটেল এবং কুলদীপ যাদব। নিজেদের মধ্যে ৭ উইকেট ভাগাভাগি করে নিলেন তাঁরা। রবিবারের সকালে মেহেদি সিরাজের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে আউট হয়ে যান। সাকিব ঝোড়ো ব্যাটিংযে বিনোদন দিচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৮৪ রানে সাকিবকে বোল্ড করেন কুলদীপ।
আরও পড়ুন: বাবার রেকর্ড এল ছেলের ব্যাটেও! রঞ্জি অভিষেকেই শতরান করে শচীনকে ছুঁয়ে ফেললেন অর্জুন
জয়ের জন্য শেষদিনে বাংলাদেশ ইনিংসকে বাঁচানোর দায়িত্বে ছিলেন সাকিব এবং মেহেদি। ভাবা হয়েছিল চতুর্থ দিনের মতই পাল্টা লড়াই ছড়িয়ে দেবেন বাংলাদেশি টেলএন্ডাররা। দিনের প্ৰথম বলেই মেহেদি সিরাজের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। অন্যপ্রান্তে অক্ষর প্যাটেলের ওপরেও চড়াও হন সাকিব আল হাসান। তবে সেই প্রতিরোধ বেশিক্ষণ টেকেনি।
চট্টগ্রামের ধীরগতির পিচে ভারত প্ৰথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চেতেশ্বর পূজারা (৯০), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৫৮), শ্রেয়স আইয়ারের (৮৬) হাফসেঞ্চুরি এবং পন্থ (৪৬), কুলদীপের (৪০) ব্যাটে ভর করে স্কোরবোর্ডে ৪০৪ তুলেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। কুলদীপ যাদব এবং মহম্মদ সিরাজের দাপটে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটাররা।
২৫৪ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভারত চেতেশ্বর পূজারা এবং শুভমান গিলের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৫৮/২ তুলে ইনিংসে ডিক্লেয়ার করে দেয়।
৫১৩ রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার ভারতকে যথেষ্ট বেগ দিয়ে যান চতুর্থ দিন। জাকির হাসান (১০০) এবং নাজমুল হোসেন শান্ত (৬৭) ওপেনিং জুটিতে ১২৪ তুলে যান। তবে কুলদীপ এই জুটিতে ভাঙন ধরানোর পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি ভারতকে। মাঝে সাকিব আল হাসান বাদে কেউই রান পাননি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা কুলদীপ যাদব।