India vs Bangladesh 2nd Test: মাত্র একদিন এবং একটা সেশন খেলা হয়েছে। এবং কানপুর টেস্টের পঞ্চম দিন যদি পুরোদিন খেলাও হয়, তাহলেও টেস্ট হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ।
প্ৰথম দিন একটা সেশন খেলা হয়েছিল। দ্বিতীয় দিন বৃষ্টিতে গোটা দিন ভেস্তে গিয়েছিল। তৃতীয় দিন বৃষ্টি না হলেও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে পণ্ড হয়ে যায় তিন নম্বর দিনের খেলাও। বাকি ছিল দুই দিন। ভারতকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছনোর জন্য এই ম্যাচ জেতা ভীষণভাবেই জরুরি ছিল। এবং চতুর্থদিন অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলে ভারত এখন কানপুর টেস্ট জয়ের বিষয়ে ফেভারিট মাত্র সওয়া দুই দিনেই।
ভারত লাঞ্চের পরেই বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিয়েছিল মাত্র ২৩৩ রানে। এরপরে ম্যাচে রেজাল্ট পাওয়ার তাগিদে ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের সূত্রপাত টিম ইন্ডিয়ার। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার আশা জাগিয়ে রাখার জন্য ভারত যে বাকি দুদিনেই ম্যাচ জেতার জন্য সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে, তা ঠিক হয়েই গিয়েছিল। তবে ব্যাট হাতে নেমে গ্রিনপার্কে যে পাড়ার টিম বানিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক রেকর্ড গড়ার পথে হাঁটবে, ভাবা যায়নি।
একই সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ৫০, ১০০, ১৫০, ২০০ করে যায় ভারত। রোহিত ওপেন করতে নেমে টি২০ মেজাজের রিংটোন সেট করে দিয়েছিলেন। টেস্ট ইনিংসের প্ৰথম দুই বলেই জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে যান প্ৰথম ব্যাটার হিসাবে। মাত্র ৩ ওভারেই ভারত বিনা উইকেটে ৫০ তুলে ফেলে। সেই সময় রোহিত ৬ বলে ১৯ এবং যশস্বী জয়সওয়াল ১৩ বলে ৩০ করে অপরাজিত ছিলেন।
রোহিত আউট হয়ে যাওয়ার পরেও অবশ্য ভারতীয় ইনিংসে ব্রেক চাপা যায়নি। ১১ বলে ২৩ করে রোহিত ফিরে গেলেও থার্ড গিয়ারেই ব্যাটিং করে যান যশস্বী জয়সওয়াল এবং শুভমান গিল। ভারত দলগত ১০০ রানের ল্যান্ডমার্কে পৌঁছয় মাত্র ১০.১ ওভারে। ভারত শেষ পর্যন্ত তৃতীয় সেশনে ২৮৫/৯ হয়ে যাওয়ার পর ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। টেস্টে ডিক্লেয়ার করার নিরিখে এটাই ভারতের সর্বনিম্ন স্কোর।
জয়সওয়াল শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৭২ করে যান। শুভমান গিল (৩৬ বলে ৩৯), বিরাট কোহলি (৩৫ বলে ৪৭) এবং কেএল রাহুল (৪৩ বলে ৬৮) ওয়ানডের মেজাজে ব্যাট করে যান। স্পিন সহায়ক পিচে ভারত নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারালেও কখনই নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার পথে হাঁটেনি। সাকিব এবং মেহেদি হাসান মিরাজ দুজনেই চারটে করে উইকেট শিকার করে যান। ৫২ রানে পিছিয়ে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ কোনওরকমে দিনের শেষে ২৬ রান যোগ করার ফাঁকেই ২ উইকেট হারিয়েছে।
বুমরা-অশ্বিন ভারতের হয়ে আক্রমণ শুরু করেছিলেন। বুমরা উইকেট না পেলেও অতি রক্ষণাত্মক ওপেনিং জুটিতে ব্রেক থ্রু দিয়ে যান অশ্বিন। জাকির হাসানকে আউট করেন তিনি। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ক্রিজে পাঠানো হয়েছিল হাসান মাহমুদকে। তিনি আবার দুর্বোধ্য কারণে অশ্বিনকেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান।
তারপর কোনওরকমে বাকি দিন পার করে দেন প্ৰথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ন মমিনুল হক এবং সাদমান ইসলাম। পঞ্চম দিন বৃষ্টি বাধ না সাধলে ভারত আপাতত জয়ের জন্য ফেভারিট। বাংলাদেশে দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও পিছিয়ে রয়েছেন ২৬ রানে। হাতে রয়েছে ৮ উইকেট।