Advertisment

ইতিহাসে কোহলিরা, প্রথম দল হিসেবে টানা চারটে টেস্টে ইনিংসে জয়

প্রথম দিনে বোলিং করে প্রতিপক্ষের ইনিংস টপকে যাওয়ার নজির ভারতের ক্ষেত্রে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। ২০০৫/০৬ সালে হারারেতে এর আগে এমন নজির গড়েছিল ভারত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
team india

সিরিজ জয় সম্পন্ন করে ভারতীয় দল (বিসিসিআই)

টেস্টের ক্রমপর্যায়ে শীর্ষস্থানীয় দল এবং নবম স্থানে থাকা দলের তফাত কতটা হতে পারে, তা দেখিয়ে গেল ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ। ইন্দোর ও কলকাতা দুটো টেস্টই শেষ হয়েছে পাঁচ দিনের মধ্যে। অনায়াসে জয় সম্পন্ন করেছে ভারত। ইনিংস হারের ক্ষত নিয়েই বাংলাদেশে ফিরতে হচ্ছে মুশফিকুরদের। তৃতীয় দিনে মাত্র ৪৭ মিনিটেই বাংলাদেশের ইনিংসের নটে গাছটি মুড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয় পেসাররা। উমেশ যাদব শেষবেলায় তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে পাঁচ উইকেটের কীর্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।

Advertisment

ভারত এখন টেস্ট খেলতে নামলেই নজির তৈরি করে। বাংলাদেশ সিরিজও তার ব্যতিক্রম নয়। রেকর্ডের পর রেকর্ড জমা হয়েছে কোহলিদের নামের পাশে-

#ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে টানা চারটে টেস্টে ভারত ইনিংস জয় পেয়েছে। পুণেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইনিংস ও ১৩৭ রানে, রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইনিংস ও ২০২ রানে, ইন্দোরে বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩০ রানে এবং কলকাতায় বাংলাদেশকে ইনিংস ৪৬ রানে পরাজিত করেছে। এর সঙ্গেই টানা একডজন হোম সিরিজ জয়ের কৃতিত্বও অর্জন করলেন কোহলিরা।

আরও পড়ুন IND vs BAN: প্রথম ঘণ্টাতেই জয় সম্পন্ন করল ভারত

#টেস্টে সবথেকে সফল (টেস্ট জয়ের সংখ্যার নিরিখে) ক্যাপ্টেনের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এলেন কোহলি। কলকাতায় জয় সম্পূর্ণ করার সঙ্গেই সঙ্গেই কোহলির নামের পাশে অধিনায়ক হিসেবে ৩৩টি জয়ের নজির। কলকাতায় তিনি পেরিয়ে গেলেন অ্যালান বর্ডারকে (৩২)। কোহলির আগে রয়েছেন ক্লাইভ লয়েড (৩৬), স্টিভ ওয়া (৪১), রিকি পণ্টিং (৪৮), এবং গ্রেম স্মিথ (৫৩)।

#বাংলাদেশ সিরিজেই ভারতীয় পেসাররা ঘরের মাটিতে এত উইকেট পেলেন। কলকাতায় বাংলাদেশের দুই ইনিংসের ১৯টি উইকেটই উমেশ, শামি, ইশান্তদের দখলে। হোম টেস্টে স্পিনাররা উইকেট পাননি, এমন নজির শেষবার দেখা গিয়েছিল ২০১৭/১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। কলকাতাতেই সেবার ভারত প্রতিপক্ষের ১৭টি উইকেট নিয়েছিল।

#ভারতীয় সিমাররা প্রতিপক্ষের এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছেন, এমন দৃষ্টান্ত ভারতীয় টেস্টের ইতিহাসে চতুর্থতম। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছিল- ১৯৮১/৮২ সালে মুম্বইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ১৯৮৩/৮৪ সালে আহমেদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এবং ২০১৭/১৮ সালে কলকাতায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

আরও পড়ুন IND vs BAN, Test day 3 Highlights: বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত

#চলতি ঘরোয়া মরশুমে কোহলি ষষ্ঠবার ভারতীয় ইনিংস অলআউট হওয়ার আগেই ডিক্লেয়ার করে দিলেন- ৫০২/৭, ৩২৩/৪, ৬০১/৫, ৪৯৭/৬ এবং ৩৪৭/৯।

#বিরাট কোহলি প্রথম ভারতীয় ব্য়াটসম্যান হিসেবে গোলাপি বলের টেস্টে শতরান করলেন। কলকাতায় কোহলি একমাত্র ইনিংসে করে গেলেন ১৯৪ বলে ১৩৬। ১৯৩৩/৩৪ সালে ভারতের হয়ে প্রথম টেস্ট শতরানের নজির লালা অমরনাথের দখলে।

#প্রথম দিনে বোলিং করে প্রতিপক্ষের ইনিংস টপকে যাওয়ার নজির ভারতের ক্ষেত্রে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। ২০০৫/০৬ সালে হারারেতে এর আগে এমন নজির গড়েছিল ভারত।

#ধোনির সঙ্গেই যুগ্মভাবে এবার ঋদ্ধিমান সাহা। উইকেটের পিছনে আউট করার নজিরের ক্ষেত্রে। এতদিন এই তালিকায় দ্রুততম ছিলেন ধোনি। ৩৫ টেস্ট খেলেই এই নজির গড়েছিলেন মাহি। সমসংখ্যক টেস্ট খেলে ধোনিকে এবার ছুয়ে ফেললেন ঋদ্ধিমান সাহা। এর পরে এই তালিকায় রয়েছেন যথাক্রমে কিরন মোরে (৩৯), নয়ন মোঙ্গিয়া (৪১) এবং সৈয়দ কিরমানি (৪২)।

#টেস্ট ক্রিকেটে কনকাশন সাব নিয়ম চালুর পরে ভারত সবথেকে বেশিবার প্রতিপক্ষকে কনকাশন সাব নিতে বাধ্য করেছে। টেস্টের এতদিন পর্যন্ত কনকাশন-সাবের বিচারে ভারতের ক্ষেত্রে যা ৮০ শতাংশ। ভারতের বিরুদ্ধে খেলেই কনকাশন-এর কবলে পড়েছেন ডারেন ব্র্যাভো (জার্মেইন ব্ল্যাকউড), ডিন এলগার (থিউনিস ডেব্রুইন ) এবং বাংলাদেশের কলকাতায় টেস্টে লিটন দাস (মেহদি হাসান মিরাজ) এবং নঈম হাসান (তাইজুল ইসলাম)।

#ওভারের বিচারে কলকাতা টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস তৃতীয় স্বলতম। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩০.৩ ওভারে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ১০৬ রানে। এর আগে এই তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা (আহমেদাবাদে, ২০০৭ সালে ২০ ওভারে) এবং নিউজিল্যান্ড (মোহালিতে, ২০০০ সালে মাত্র ২৭ ওভারে)।

Read the full article in ENGLISH

Bangladesh Pink Ball Test cricket Eden Gardens
Advertisment