IND vs BAN: বাংলাদেশের নেটে মায়াঙ্কের মত প্রচুর বোলার রয়েছে! ভারতের গতিদানবকে হেয় করে বিস্ফোরণ শান্তর

Najmul Hossain Shanto on Mayank Yadav: প্ৰথম টি২০-তেই কার্যত কচুকাটা হয়েছে বাংলাদেশ। তারপরেও মুখ খুলে বিশাল বিতর্ক বাঁধিয়ে ফেললেন টাইগার ক্যাপ্টেন নাজমুল শান্ত।

Najmul Hossain Shanto on Mayank Yadav: প্ৰথম টি২০-তেই কার্যত কচুকাটা হয়েছে বাংলাদেশ। তারপরেও মুখ খুলে বিশাল বিতর্ক বাঁধিয়ে ফেললেন টাইগার ক্যাপ্টেন নাজমুল শান্ত।

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
India vs Bangladesh, IND vs BAN, ভারত বনাম বাংলাদেশ, Mayank Yadav, Najmul Hossain Shanto

Najmul Hossain Shanto on Mayank Yadav: দলের ব্যাটারদের অপারগতার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (টুইটার)

India vs Bangladesh t20 series: রবিবারের প্রথম টি২০ ম্যাচে মায়াঙ্ক যাদবের ভারতীয় দলে অভিষেক হয়েছে। গতিদানবকে নিয়ে রীতিমত স্বপ্ন দেখছে টিম ইন্ডিয়া এবং বিশেষজ্ঞরা। এখনও সিরিজের দুটো টি২০ ম্যাচ বাকি। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত কিন্তু, মায়াঙ্ককে নিতে মোটেও চিন্তিত নন।

Advertisment

তাঁর দাবি, মায়াঙ্কের মত গতিসম্পন্ন বোলার বাংলাদেশের নেটেও অনুশীলন করে। তাই ভালো বল করলেও মায়াঙ্ককে নিয়ে বাংলাদেশের আলাদা করে ভাবনার কিছু নেই। ভারতের পেস সেনসেশন মায়াঙ্ক গোয়ালিয়র ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন।

স্পিডগানের গতিমেশানো বাউন্সে রীতিমতো নাজেহাল লেগেছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। তবে, এত গতিতে বল করলেও লাইন-লেংথ ঠিক রেখেছিলেন মায়াঙ্ক। রবিবারের ম্যাচে শুরু হওয়া তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার এই গতিদানব শুরুই করেছেন মেডেন ওভান দিয়ে। তারপরও তাঁকে নিয়ে চিন্তিত নন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

এই ব্যাপারে শান্ত বলেছেন, 'আমরা এসবে অভ্যস্ত। আমাদের নেটেও এমন বোলার আছে। ও ভালো বোলার। কিন্তু, আমাদের ওকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।' শান্ত একথা বললেও, বাংলাদেশের টি২০ স্কোয়াডে তাসকিন আহমেদ ছাড়া এমন কেউ নেই, যে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করতে পারে। টেস্ট স্কোয়াডে অবশ্য ছিল। বাংলাদেশের নাহিদ রানা, ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন।

Advertisment

সে যাই হোক, রবিবারের ম্যাচ জিতে টিম ইন্ডিয়া আপাতত তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে। গত ম্যাচে তাঁর চার ওভারে মায়াঙ্ক ২১ রান দিয়ে এক উইকেট পেয়েছেন। মেহেদি হাসান মিরাজ আর রিশাদ হোসেন ছাড়া বাংলাদেশের আর কাউকে তাঁর দ্রুতগতির বল সামলাতে দেখা যায়নি।

আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে আকছার ঘণ্টায় ১৫০-১৫৫ কিলোমিটার গতিতে বল করেন মায়াঙ্ক। আর, এর সুবাদে তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে রীতিমতো পরিচিত মুখ। তবে, সাইড স্ট্রেনের জন্য বেশ কিছুদিন খেলার বাইরে ছিলেন। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (NCA) বিসিসিআইয়ের মেডিকেল টিমের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।

চোটের জন্য পাঁচ মাস পর রবিবারই প্রথম ম্যাচে নামলেন। তা-ও আবার আন্তর্জাতিক অভিষেক। সেখানে স্পষ্ট হয়ে গেল, মায়াঙ্ক চোট সারিয়ে উঠেছেন। ফলে, অস্ট্রেলিয়ার পিচে ভারতের কাজে লাগতে পারেন। শান্ত অবশ্য বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, তিনি মায়াঙ্কের চেয়েও তাঁর ব্যাটারদের নিয়েই বেশি চিন্তিত।

বাংলাদেশ অধিনায়ক এই ব্যাপারে বলেছেন, 'আমাদের ব্যাটাররা টি২০ ফরম্যাটে ১৮০-র বেশি তুলতে পারে না। আমরা ঘরের মাঠে হামেশাই ১৪০-১৫০ রান তুলি। তার বেশি পারি না। তবে, এজন্য শুধু দেশের পিচকেই দায়ী করব না। আমাদের মানসিকতা আর দক্ষতাও বাড়াতে হবে। আমরা, সেসব দেশে ফিরে অনুশীলনের মাধ্যমে বাড়ানোর চেষ্টা করব। আমাদের ক্ষমতা আছে, চেষ্টা করলে উন্নতি করতে পারব।'

Mayank Yadav Team-India Indian Team Bangladesh Cricket Indian Cricket Team Team India India Cricket Team Bangladesh Cricket Team