ইংল্যান্ড: ১৬৫/৯ এবং ভারত: ১৬৬/৮ (১৯.২)
India vs England 2nd t20I match report: প্ৰথম ম্যাচে একপেশে জয় পেয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচ গড়াল টানটান উত্তেজনায়। শেষ ওভারে ভারত জয় ছিনিয়ে নিল। কার্যত হেরে বসতে চলেছিল টিম ইন্ডিয়া। একা হাতে ভারতকে চার বল হাতে নিয়ে ২ উইকেটে জয় ছিনিয়ে আনলেন তিলক ভার্মা। ম্যাচ জেতানো তিলকের ব্যাট থেকে এল অন্য মেজাজের ৫৫ বলে ৭২ রান। হাঁকালেন চারটে বাউন্ডারি, পাঁচটা ওভার বাউন্ডারি।
১৬৬ রানের টার্গেটের সামনে ভারত পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে। জোফ্রা আর্চার, মার্ক উড পরপর দু-ওভারে ভারতের দুই ওপেনার সঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মাকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদবকে বোল্ড করেন ব্রাইডন কার্স।
এরপরে ম্যাচের পুরোটাই পেন্ডুলামের মত দুলল। কখনও ভারতের দিকে, কখনও আবার ইংল্যান্ডের দিকে। তবে তিলকের সৌজন্যে শেষ হাসি হাসল ভারত-ই। তিলক ভার্মা একদিকে ইনিংসের চাহিদা মেনে স্কোর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করলেন। অন্য প্রান্তে ক্রমাগত উইকেট পতন ম্যাচের আকর্ষণ জিইয়ে রাখল। জোফ্রা আর্চার-মার্ক উডের প্ৰথম দিকে কার্যকর হলেও পরের দিকে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে গেল চিপকে।
আর্চার নিজের চার ওভারে খরচ করলেন ৬০ রান। উড-কে পুরো নিজের ৪ ওভারের কোটা ব্যবহার করতে সাহস পেলেন না ক্যাপ্টেন বাটলার। মিডল ওভারে আদিল রশিদ, ব্রাইডন কার্স এবং জেমি ওভারটন আঁটোসাঁটো লেন্থে বল করে ভারতকে আটকে দিয়েছিলেন। লিয়াম লিভিংস্টোনও মোক্ষম সময়ে অক্ষর প্যাটেলকে আউট করেন।
দশম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া আউট হয়ে যাওয়ার সময় ভারত ৭৮/৫ হয়ে গিয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে ম্যাচ যে ভারত বাঁচিয়ে দেবে, ভাবা যায়নি। তবে ঠান্ডা মাথায় ইনিংসের হাল ধরে রাখলেন তিলক ভার্মা। প্ৰথমে ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৩৮ রানের ছোট পার্টনারশিপে দলের ইনিংসে মেরামতি চালানোর পর যখন ধরে নেওয়া হয়েছিল ম্যাচে ভারত ফিরে এসেছে, সেই সময়েই আবার নিয়মিত ব্যবধানে ওয়াশিংটন, অক্ষর প্যাটেল এবং অর্শদীপ সিংয়ের উইকেট হারিয়ে রোমহর্ষক মেজাজ আমদানি করে যায় ভারতের ব্যাটিং।
নবম উইকেটে চূড়ান্ত উত্তেজনার মুহূর্তে রবি বিশ্নোই ৯ রানে অপরাজিত থেকে ক্রিজে থাকা তিলক ভার্মাকে সাহায্য করে যান জয়ের জন্য। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। শেষ ওভারে টার্গেট গিয়ে দাঁড়ায় ৬ রানে। প্ৰথম দুই বলেই সেই রান তুলে নেন তিলক।
তার আগে অর্শদীপ সিংয়ের প্ৰথম ওভারে উইকেটের পর আরও একবার ইংল্যান্ড ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। একসময় ইংল্যান্ড ৯০/৫ হয়ে যায়। তারপরেও ইংল্যান্ড যে ১৬৫-এর সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছতে সমর্থ হল, নেপথ্যে জেমি স্মিথ (১২ বলে ২২) এবং ব্রাইডন কার্সের (১৭ বলে ৩১) ক্যামিও। তবে তাতেও শেষ রক্ষা হল না চিপকে।