স্মরণীয় জয় পেল ভারত। ইংরেজদের দুরমুশ করে ১০৬ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল টিম ইন্ডিয়া। যশস্বী জয়সোয়াল-শুভমান গিলের মত তরুণ তুর্কিরা যেমন জয়ের প্রধান রূপকার। তেমন জয়ের কারিগর বুমরা-অশ্বিনও। বুমরা দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট দখল করলেন। ম্যাচের সেরাও তিনি। অন্যদিকে, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ব্যাটে-বলে জয়ে অবদান রাখলেন। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিনের লোয়ার অর্ডারে দৃঢ়চেতা ব্যাটিং ভারতের লিড ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। তারপর বল হাতেও দ্বিতীয় ইনিংসে তুললেন ৩ উইকেট।
এত ভালো খবরের মধ্যেও হতাশা একটাই- অশ্বিন টেস্টে ৪৯৯তম উইকেটে আটকে থাকলেন। ৫০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছনোর জন্য অপেক্ষা বাড়ল তাঁর। তবে রাজকোট টেস্টের জন্য অপেক্ষা নয়, ভাইজ্যাগেই কেরিয়ারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন তারকা অফস্পিনার।
বলা ভালো, অশ্বিন ৫০০ উইকেটের রেকর্ডে পৌঁছতে পারলেন না সামান্য ভুলে। লাঞ্চে ইংল্যান্ড ১৯৪/৬ হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি উইকেটই ছিল অশ্বিনের নামে। বাকি ৪ উইকেটের মধ্যে একটি উইকেট পেলেই তারকা স্পিনার প্ৰথম ভারতীয় হিসাবে ৫০০ বা ততোধিক উইকেট তুলতে পারতেন।
আরও পড়ুন: যশস্বীর কীর্তিতে ৫ শব্দ, আর ‘জামাই’ গিলের জন্য ২ লাইন! ‘শ্বশুর’ শচীনের নিরীহ বার্তায় বেনজির শোরগোল
৬৩ তম ওভারের ঘটনা। সেই ওভারে বল করছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সেই ওভারেই অশ্বিনকে রিভার্স সুইপ করতে যান টম হার্টলে। তবে বল হাতে লেগে ওপরে উঠে যায়। ভরত ক্যাচ ধরেন। ভারতীয়দের জোরালো আবেদনে ক্যাচের জন্য আউটের সিগন্যাল দিয়ে দেন আম্পায়ার। এরপরে ইংরেজ শিবির রিভিউয়ের জন্য আবেদন করে। তবে তৃতীয় আম্পায়ারের তরফে সমস্ত ধরনের আউটের সম্ভবনাই খতিয়ে দেখা হয় সাধারণত।
ক্যাচের আবেদন শুরুতেও নাকচ হয়ে যায়। কারণ রিপ্লেতে দেখা যায় বল গ্লাভস নয় বরং বাহুতে লেগে ওপরে উঠেছিল। তবে বিতর্ক রয়ে যায় লেগ বিফোরের সম্ভবনা খতিয়ে দেখার সময়। ইম্প্যাক্টে দেখা যায় বল লেগস্ট্যাম্পের লাইনে পড়ে বেলে আঘাত হানছে। স্পষ্ট লেগ বিফোর হলেও নট আউটের পক্ষেই রায় দেন তৃতীয় আম্পায়ার। যুক্তি দেওয়া হয়, অরিজিনাল আউট দেওয়া হয়েছিল ক্যাচ আউটের জন্য। সেই সিদ্ধান্ত খারিজ হয়ে যাওয়ায় লেগ বিফোর গ্রাহ্য হয়নি।
এতে দৃশ্যতই অসন্তুষ্ট হয় ভারতীয় শিবির। রোহিতকে লম্বা সময় অনফিল্ড আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানির সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায়। এলবিডব্লিউ কেন দেওয়া হল না, তা জানতে চাওয়া হয়। আম্পায়ার জানান, রিভিউ নেওয়া হয়েছিল ক্যাচ আউটের জন্য। সেই বিষয়ে ব্যাটার ক্লিনচিট পেয়ে যাওয়ায় লেগ বিফোরের আউট আর গ্রাহ্য হয়নি।