Sachin Tendulkar-Shubman Gill: সামান্য নিরীহ এক শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। সেটাই যে হাসি-মস্করার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে, ভাবতেই পারেননি শচীন রমেশ তেন্ডুলকার। অনেকদিন পর শুভমান গিল শতরান করেছিলেন। টেস্টে রানের মুখ দেখেননি বহুদিন। ভাইজ্যাগ টেস্টের (Vizag Test) আগে শুভমান গিলকে চরম সতর্কবার্তা দিয়ে দেওয়া হয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে। বলে দেওয়া হয়েছিল এই টেস্টে ব্যর্থ হলেই রঞ্জিতে ফেরত পাঠানো হবে তারকাকে।
তবে এই চাপ কাটিয়েই গিল শতরানের মুখ দেখেছেন। আর গিলের দুরন্ত সেঞ্চুরির পরেই শচীন টুইটে প্রশংসা করেছেন তারকার। উচ্ছ্বসিতভাবে শচীন লিখে দেন, "গিলের এই শতরান স্কিলের চূড়ান্ত প্রদর্শন। ঠিক সময়ে এই সেঞ্চুরির জন্য অভিনন্দন।"
এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়ে লিটল মাস্টারের সেই টুইট। এমনিতে শুভমান গিলের সঙ্গে শচীন-কন্যা সারার সম্পর্কের গুঞ্জন নতুন কিছু নয়। কয়েকদিন আগেই শুভমান গিলের বোনের সঙ্গে দেখা গিয়েছে সারা তেন্ডুলকারকে। যদিও কিংবদন্তি কন্যার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা কখনই প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি শুভমান গিল।
যাইহোক, সারার সঙ্গে সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করেই নেটিজেনরা শচীনকে মস্করা করে রিপ্লাই দিতে থাকেন। যশস্বী জয়সোয়ালের দুরন্ত ডাবল সেঞ্চুরির পর শচীন মাত্র কয়েক শব্দে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন গতানুগতিকভাবে। তবে শুভমানকে করা টুইটের লব্জে লব্জে উচ্ছ্বাস। সেই বিষয়টিই উল্লেখ করেছেন এই নেটিজেন।
আরও পড়ুন: সেঞ্চুরি করেও তৃতীয় টেস্টে হয়ত টিম ইন্ডিয়ার বাইরে! ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদে ছন্নছাড়া গিল
একজন লিখেছেন, "জয়সোয়ালের জন্য মাত্র ৫ শব্দ। আর শুভমানের জন্য দুই লাইন!!! আমরা বুঝি স্যার।" বাকিরাও সম্ভাব্য পারিবারিক সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে তুমুল মস্করার পথে হেঁটেছেন।
যাইহোক, টেস্টে টানা ব্যর্থ হয়ে চলেছিলেন তারকা। ৯ ইনিংসে করেছিলেন মাত্র ১৫৩ রান। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল এই বিশাখাপত্তনমেই প্ৰথম ইনিংসে করা ৩৬। টিম ইন্ডিয়ায় তাঁর জায়গা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছিল। স্পিন এবং সিম বোলিংয়ের বিপক্ষে তাঁর দুর্বলতা প্রকট হয়ে পড়ছিল বারবার। স্পিনারদের শক্ত হাতে জ্যাব করছিলেন। পেসারদের বিপক্ষে হাফ-ফরোয়ার্ড মুভমেন্টে সামনে ঝুঁকছিলেন তিনি। জেমস আন্ডারসনের বিপক্ষে বারবার ধরা খাচ্ছিলেন তারকা। এখনও যে তিনি নিজের টেকনিক্যাল সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন এমনটাও নয়। তবে এই সেঞ্চুরি শুভমানকে মানসিক শান্তি, আত্মবিশ্বাস যেমন সরবরাহ করল, তেমন নিজের সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য সময় দিয়ে গেল কিছুটা।