Shubman Gill century against England: ভাইজ্যাগ টেস্টে সেঞ্চুরি করার পরে যেভাবে শুভমান গিল আউট হয়ে গিয়েছেন, তাতে মোটেই খুশি নন তাঁর পিতা। এমনটাই জানালেন তারকা ক্রিকেটার। শুভমান গিলের ১০৪ রানে ভর করে ইংল্যান্ডের কাছে জয়ের জন্য ৩৯৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল ভারত।
ম্যাচের পর শুভমান গিল স্পোর্টস-১৮'এ কেভিন পিটারসেনকে বলে দেন, "বাবা জানিয়েছেন, আমি বড় স্কোর মিস করেছি। আমিও এই বিষয়ে সম্মত হয়েছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ উনি আমাকে হোটেল থেকে বের করে এনেছেন।"
অনুর্দ্ধ-১৪ পর্যায় থেকেই শুভমান বড় রানের সুযোগ মিস করলে বরাবর হতাশ হয়েছেন তাঁর পিতা লখবিন্দর। গাব্বায় গিল ঐতিহাসিক ৯১ রানের ইনিংস খেলার পর গোটা দেশ যখন উদযাপনে মত্ত ছিল, সেই সময়েই হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন লখবিন্দর। যেভাবে নাথান লিয়নকে উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছিলেন গিল, তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি পুত্রের ইনিংসে।
শনিবার শুভমান একশো করার আগে পর্যন্ত সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছিল না তরুণ তুর্কির। শেষ ৯ ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়েছিল মাত্র ১৫৩ রান। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ভাইজ্যাগ টেস্টের-ই প্ৰথম ইনিংসে করা ৩৬। টিম ইন্ডিয়ায় তাঁর জায়গা পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। গিল নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার আগে প্রবল চাপে ছিলেন তিনি। "একটা কথায় বিষয়টি ব্যাখ্যা করলে বলতে হয়, ইনিংসের প্ৰথম এবং শেষ বলে একই ভাবে বুক দুরুদুরু করছিল আমার।" বলে দেন শুভমান।
আরও পড়ুন: টেস্ট জিতেই এই তারকাকে বাদ দিচ্ছে টিম ইন্ডিয়া! ভাইজ্যাগে উড়ে এলেন আগারকার
"শতরান করার পরেও নার্ভাস ছিলাম আমি। ইংল্যান্ড যখন সকালে ব্যাট করছিল, সেই সময় রাহুল স্যারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। অদ্ভুত একটা অনুভুতি হচ্ছিল। এরকম অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি।"
"অবশ্যই শেষ কয়েকটা ম্যাচে রান করতে না পারায় চাপ বাড়ছিল। স্রেফ বাইরের সমালোচনা নয়, নিজের ওপরেও আমার যে প্রত্যাশা ছিল, তাতে হতাশ হতে হচ্ছিল। বিশাখাপত্তনম এবং হায়দরাবাদে প্ৰথম ইনিংসে যেভাবে আউট হয়েছিলাম, তাতে হতাশা গ্রাস করছিল। এই প্রত্যাসার চাপেই বারবার হতাশ ছিলাম আমি।"
ওপেন করা বাদ দিয়েও তিন নম্বরে ব্যাটিং করার নিয়েও মুখ খুলেছেন তারকা। বলেছেন, "সকলেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি কেন ওপেন ছেড়ে তিন নম্বরে ব্যাট করছি। তাঁদেরকে জানিয়েছি, আমি প্ৰথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছি। এবং তিনটে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছি ৩ এবং ৪ নম্বরে ব্যাটিং করে।"
"এটা এমন নয় যে আমি আগে কখনও করিনি। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিন নম্বরে ব্যাটিং করা সবসময় আলাদা। আর নিজে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরে এবং ভুল ত্রুটি শুধরাতে পেরে আমি সত্যি কৃতজ্ঞ। এই অভিজ্ঞতা থেকে ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা নেব।"
"আমি সংবাদপত্র পড়ি না। তবে অন্যান্য ক্রিকেটারদের দেখেছি। সকলে কী বলছে তা জানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যাই না। কারণ খারাপ সময়ে সকলে যে বলবে আমি ভালো খেলছি, এমনটা প্রত্যাশা করাও অন্যায়। তবে অন্যান্যদের জন্য নয়, নিজের প্রত্যাশা মত পারফর্ম করতে পারছিলাম না এতদিন, সেই কারণেই হতাশা ছিল।"