/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/02/sarfaraz-mahindra.jpg)
Sarfaraz Khan Anand Mahindra: সরফরাজকে থর গাড়ি উপহার দিচ্ছেন আনন্দ মাহিন্দ্রা (টুইটার)
IND vs ENG Rajkot Test: স্বপ্নের অভিষেক ঘটিয়েছেন। তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশার যে হাইপ উঠেছে, তা যে ফ্লুক ছিল না, ব্যাট হাতে বুঝিয়ে দিয়েছেন সরফরাজ খান। টানা তিন বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট হাতে সেরা পারফর্মার। তার জন্য আওয়াজ উঠেছিল। টিম ইন্ডিয়ায় তাঁর আগমন যে নিতান্তই এমনি এমনি নয়, রীতিমত বুঝিয়ে দিয়েছেন মুম্বইকর।
আর সরফরাজকে ঘিরে মাতোয়ারা যে ক্রিকেট জনতা, লাগামছাড়া উল্লাস দেখেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধার আনন্দ মাহিন্দ্রা। জানিয়ে দিলেন, সরফরাজ খানের পিতাকে থর গাড়ি উপহার দেওয়া হবে। নিজের টুইটার প্রোফাইলে আনন্দ মাহিন্দ্রা লিখে দিলেন, "স্রেফ সাহস হারাবেন না। কঠোর পরিশ্রম, সাহস, ধৈর্য্য- নিজের সন্তানকে উদ্দীপ্ত করার জন্য একজন পিতার আর কী গুণাবলী থাকা প্রয়োজন? একজন অনুপ্রেরণামূলক পিতা হিসাবে উনি যদি ওঁকে থর গাড়ি উপহার নেন আমার তরফ থেকে, তাহলে তা সম্মানের বিষয় হবে!"
“Himmat nahin chodna, bas!”
Hard work. Courage. Patience.
What better qualities than those for a father to inspire in a child?
For being an inspirational parent, it would be my privilege & honour if Naushad Khan would accept the gift of a Thar. pic.twitter.com/fnWkoJD6Dp— anand mahindra (@anandmahindra) February 16, 2024
রাজকোটে অভিষেক ম্যাচেই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন সরফরাজ। দুর্ধর্ষ হাফসেঞ্চুরি করে। জাদেজার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে দুরন্ত এই ইনিংস শতরানে পূর্ণতা পায়নি। তবে বাবাকে নিয়ে সরফরাজ বরাবর খুল্লামখুল্লা। দিনের শেষে তারকা ব্যাটার বলে দিয়েছেন, "মাঠে উনি আসা দারুণ এক ব্যাপার। ৬ বছর বয়স থেকে ক্রিকেট খেলছি। আর বাবার বরাবরের স্বপ্ন ছিল আমি যেন জাতীয় দলের হয়ে খেলি। আমার এবং ভাইয়ের জন্য বাবা সবসময় কঠোর পরিশ্রম করে এসেছেন। এটাই আমার জীবনের সবথেকে গর্বের দিন।"
আরও পড়ুন- সরফরাজ আউট হতেই ফুঁসলেন রোহিত, ছুঁড়লেন টুপি! ভারতের ড্রেসিংরুমে চূড়ান্ত কলহ, দেখুন ভিডিও
ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছিলেন সরফরাজ। তবে তা সত্ত্বেও টেস্টে খেলার আশা কিছুতেই পূরণ হচ্ছিল না। রাজকোটেই সেই স্বপ্ন পূরণ হয় সরফরাজের। অনিল কুম্বলের হাত থেকে ডেবিউ ক্যাপ উপহার পান তারকা ব্যাটার।
আর পুত্রের হাতে ডেবিউ ক্যাপ দেখে নিজের আবেগ আর সামলাতে পারেননি সরফরাজের পিতা নৌশাদ খান। চোখে জল নিয়ে সরফরাজের টুপিতে চুম্বন করেছিলেন। পুত্রকে আলিঙ্গনও করেন তিনি।
পুত্রের স্বপ্নপূরণের অন্যতম সারথি হয়ে উঠেছেন। দিনের পর দিন দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটোছুটি করেছেন। থ্রো ডাউন দিয়েছেন প্রয়োজনে। পুত্রের ক্রিকেট-যাত্রায় সবসময়ের সঙ্গী থেকেছেন। তাঁকেই পুরস্কৃত করলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা।