IND vs ENG, 5th Test Match at Dharamshala: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর বোর্ডের তরফে এল বড় ঘোষণা। জানিয়ে দেওয়া হল, চালু করা হচ্ছে, টেস্ট ক্রিকেট ইনসেন্টিভ স্কিম। জয় শাহ যখন বিরাট আর্থিক ঘোষণা করলেন, তার আগেই ধর্মশালায় ইংল্যান্ডকে শোচনীয়ভাবে ইনিংস এবং ৬৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ভারত ফের একবার নিজেদের আধিপত্য জানান দিয়েছে। জোড়া ঘটনায় দেশের তরুণ ক্রিকেটাররা আরও উদ্দীপ্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জয় শাহ টুইটারে লিখে দেন, "২০২২/২৩ সিজন থেকে শুরু করে টেস্ট ক্রিকেটে ইনসেন্টিভ স্কিম চালু করা হচ্ছে। বর্তমানে ম্যাচ পিছু ১৫ লক্ষ টাকা ফি-র যে আর্থিক কাঠামো রয়েছে, তাঁর ওপর অতিরিক্ত আর্থিকভাবে লাভবান হবেন ক্রিকেটাররা।
এই প্রকল্পে বোর্ডের তরফে ৪০ কোটি টাকার বেশি অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এই পে স্ট্রাকচার অনুযায়ী, ২০২২/২৩ সিজন থেকে যে ক্রিকেটাররা জাতীয় দলের হয়ে ৫০ শতাংশ বা তাঁর বেশি ম্যাচ খেলবেন তাঁরা বর্তমান ম্যাচ ফির প্রায় দ্বিগুণ উপার্জন করবেন। বর্তমানে প্রত্যেক টেস্ট খেলার জন্য ক্রিকেটারদের মেলে ১৫ লক্ষ টাকা। তবে নতুন আর্থিক কাঠামো মানা হলে, সিজন পিছু ৯ ম্যাচের মধ্যে কোনও ক্রিকেটার যদি ৫-৬টি ম্যাচে অংশ নেয়, তাহলে সংস্লিষ্ট ক্রিকেটার ৩০ লক্ষ টাকা করে পাবে প্রত্যেক টেস্টের জন্য। সিজন পিছু কোনও ক্রিকেটার যদি ৭৫ শতাংশ ম্যাচে অংশ নেন, তাহলে প্রত্যেক ক্রিকেটার ২২.৫ লক্ষের বদলে ৪৫ লক্ষ টাকা করে পাবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ আগেই বলা হয়েছিল, ঈশান কিষান বারংবার বোর্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার বার্তাকে যেভাবে উপেক্ষা করে আইপিএল খেলার তোড়জোড় করে চলেছে, তাতে বোর্ড আর্থিক পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে চলেছে। এমনকি রঞ্জিতে খেলার পক্ষে সওয়াল করেছেন শচীন থেকে রোহিত সকলেই। রোহিত পঞ্চম টেস্ট শুরুর আগে বলে দেন, "যাঁদের খেলার ক্ষিধে রয়েছে, তাঁদেরই আমরা সুযোগ দেব। টেস্ট ক্রিকেট হল কঠিনতম ফরম্যাট। এই পর্যায়ে সাফল্য পেতে হলে, ক্ষিধে প্রদর্শন করতেই হবে।"
"কাদের ক্ষিদে নেই, কে এই পর্যায়ে পারফর্ম করতে চায় না, সেটা প্রমাণিত হয়েই যাবে। যাঁরা কঠিন সিচুয়েশনে খেলতে চায়, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।"
"আইপিএল-ও ভালো ফরম্যাট। তবে টেস্ট ক্রিকেট হল সেরা ফরম্যাটের ক্রিকেট। এখানে সাফল্যের জন্য নিজেকে নিংড়ে দিতে হয়। শেষ তিনটে জয় সহজে আসেনি। বোলারদের লম্বা লম্বা স্পেলে বল করতে হয়েছে। ব্যাটসম্যানদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হয়েছে।"
তার আগে শচীন ক্রিকেটারদের রঞ্জিতে খেলার জন্য লম্বা পোস্টে পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলে দেন, "দুরন্ত একটা রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনাল ম্যাচ হল। ব্যাটিংয়ের দুর্দান্ত কামব্যাক ঘটিয়ে মুম্বই ফাইনালে পৌঁছে গেল। অন্য সেমিফাইনালের উত্তেজনা শেষদিন পর্যন্ত বজায় ছিল। মধ্যপ্রদেশের জয়ের জন্য ৯০ প্লাস রানের দরকার ছিল। বিদর্ভের প্রয়োজন ছিল ৪ উইকেট। গোটা কেরিয়ার জুড়েই রঞ্জিতে খেলার বিষয়ে আমি সবসময়েই প্যাশনেট ছিলাম। সুযোগ পেলেই মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি খেলতাম। বেড়ে ওঠার সময় আমাদের ড্রেসিংরুমে ৭-৮ জন টিম ইন্ডিয়ার প্লেয়ার ছিল। ওঁদের সঙ্গে খেলাটা উপভোগ্য ছিল।”
"জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যখন ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেয়, তখন সেই টুর্নামেন্টের মান অনেকটাই বেড়ে যায়। তরুণরা নিজেদের আরও উন্নত করে। অনেক সময় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই খেলার প্রাথমিক বিষয়গুলি নতুন করে আয়ত্ত করে। আর সেরা সেরা তারকারা অংশ নিলে সমর্থকরাও ঘরোয়া দলগুলিকে আরও বেশি করে ফলো করা শুরু করে। বোর্ড যে রঞ্জি ট্রফিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, এটা বেশ ভালো বিষয়।”