England tour to India 2024: নির্বিঘ্নেই হচ্ছিল ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ। প্ৰথম টেস্টে ভারতকে হারানোর পর দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটে-বলে উভয় বিভাগেই পর্যুদস্ত হয়েছে ইংরেজ শিবির। মাত্র সাড়ে তিন দিনে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে বসেছে ইংল্যান্ড।
তবে এই হারের পরেই বিতর্কের কালো দাগ লেপে দিল বেন স্টোকসের মন্তব্য। জ্যাক ক্রলিকে যেভাবে আউট দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন ইংরেজ অধিনায়ক। ভারতের পাহাড়প্রমাণ ৩৯৯ রানের লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের শুরুটা খারাপ হয়নি। বেন ডাকেট শুরুতে আউট হলেও অলি পোপকে নিয়ে দারুণভাবে ইংল্যান্ডকে টানছিলেন জ্যাক ক্রলি। স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন ইতিহাস গড়া জয়ের। তবে হঠাৎ করেই অন্যপ্রান্তে উইকেট পতন শুরু হয়ে গেলেও ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন ইংরেজ ওপেনার।
৭৩ রানে যখন ব্যাটিং করছিলেন ক্রলি, সেই সময়েই কুলদীপ যাদবের লেন্থ ডেলিভারি আছড়ে পড়েছিল ক্রলির প্যাডে। অনফিল্ড আম্পায়ার মরিস ইরাসমাস প্রাথমিকভাবে নট আউট দিলেও ভারত রিভিউয়ের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠায়।
আরও পড়ুন: বোমা ফাটিয়েছিলেন সৌরভ, সপাটে দিলেন এবার দ্রাবিড়-ও! দুই মহারথীর সংঘাতে উত্তাল ভারতীয় ক্রিকেট
ডিআরএস প্রযুক্তিতে দেখা যায় ইমপ্যাক্ট লাইনেও বল থাকা সত্ত্বেও বলের গতিপথ লেগ স্ট্যাম্পের অভিমুখে ছিল। তবে তা স্বত্ত্বেও তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সঙ্কেত দেন। এর পরেই অসন্তুষ্ট বেন স্টোকস ম্যাচের পর বলে দেন, "খেলায় প্রযুক্তির ব্যবহার সবসময় থাকবেই। প্রত্যেকেই জানে, এটা কখনই ১০০ শতাংশ নির্ভুল হওয়া সম্ভব নয়। এই কারণেই আম্পায়ারের কল চূড়ান্ত নির্ণায়ক হয়েছে। যখন এটা পুরোপুরি নির্ভুল নয়, তখন কেউ যদি বলে, এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ভুল করেছে, তাহলে দ্বিমত হওয়ার অবকাশ থাকে না।"
"এটা পুরোপুরি আমার ব্যক্তিগত অভিমত। খেলায় যদি-কিন্তুর অনেক সম্ভবনা থাকে। এই কারণেই যে আমরা ম্যাচ হেরেছি, এমনটা মোটেও বলছি না। তবে এটা বলাই যায়, প্রযুক্তি এক্ষেত্রে ঠিক ছিল না। যা হয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে নতুন করে আর কিছু করার অবকাশ থাকে না। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। এটাই আমার অভিমত।"
ক্রলি যখন ফিরে যান, তখনও ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২০৬ রান। ১৯৪/৬ থেকে বাকি ৪ উইকেট তুলতে ভারত ২৬.৪ ওভার নেয়। সিরিজে সমতা ফেরানোর পর ভারত আপাতত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে নামবে রাজকোটে। ১০ দিন পর।