India vs England Test Series: অবশেষে অনেক জল ঘোলা হওয়ার পর ভিসা পেয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইংরেজ স্পিনার শোয়েব বশির। তবে ভারতের মাটিতে প্ৰথম টেস্টে অভিষেক হচ্ছে না সারেতে খেলা তারকার। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের সরকার হস্তক্ষেপ করায় ভারতে পা রাখার ভিসা হাতে পেয়েছেন শোয়েব বশির। বিলেতের প্রচারমাধ্যমে ভারত-বিরোধী একাধিক প্রতিবেদনের পর নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছিল দুই দেশের সরকার।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত তারকা স্কোয়াডের বাকিদের তুলনায় অনেক বিলম্বে ভিসা পেলেন বুধবার। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের সূত্রে জানা গিয়েছে, সবকিছু নিয়ম মাফিক করা হয়েছে। লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে ইসিবির সঙ্গে সারাক্ষণ যোগাযোগ রাখা হয়েছিল যাতে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের দ্রুত ভিসা মঞ্জুর করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ইন্ডিয়া সিরিজ বয়কট করুক ইংল্যান্ড! বশিরের ‘অপমানে’ বিলেতের মাটিতে ভারত-বিরোধী ঝড়
গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শোয়েব বশির ইংল্যান্ডের বাকি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভিসা আবেদন করেন। তবে বশির বাদে ইংল্যান্ডের স্কোয়াডের সকলেই এমনকি সাপোর্ট স্টাফ-ও সময়মত ভিসা পেয়ে যান। এরপরে যথারীতি শোয়েব বশির দলের সঙ্গে আবু ধাবিতে ভারত সফরের প্রস্তুতি ক্যাম্পে ছিলেন। তবে আবু ধাবি থেকেই দলের সকলে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান বশির বাদে। নবাগত স্পিনারকে বলা হয়, ভিসা পাওয়ার জন্য সশরীরে হাজির হতে হবে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে। এরপরে আবুধাবি থেকে লন্ডনে উড়ে গিয়ে ভিসা সংগ্রহ করেন তিনি। তবে এই টানাপোড়েনে প্ৰথম টেস্টে আর খেলা হয়ে ওঠেনি তাঁর।
জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ডের স্কোয়াডে থাকা অন্য এক পাক বংশোদ্ভূত তারকা রেহান আহমেদের এই সমস্যা হয়নি। তিনি ভারতে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের রিজার্ভ প্লেয়ার ছিলেন। তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় নথি আগে থেকেই রয়েছে।
আরও পড়ুন- গায়ে পাকিস্তানি গন্ধ, ভারতে ঢুকতে কালঘাম ছুটছে ইংরেজ তারকার! ভারত-ইংল্যান্ড সংঘাতে বেনজির উত্তাপ
আর শোয়েব বশিরের এই কাণ্ডে নাকি ভারত সফর-ই বয়কট করতে চেয়েছিলেন স্বয়ং ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। ম্যাচের আগের দিনে কার্যত বোমা ফাটিয়েই স্টোকস বলে দেন, "আবু ধাবিতে যখন প্রথম পর্যায়ের খবর পাই আমরা, আমি বলেছিলাম, ব্যাশ (বশির) ভিসা না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের কারোর-ই ভারতে যাওয়া উচিত হবে না। তবে এটা বলার থেকে করাটা ভীষণ বড় ব্যাপার। হয়ত পুরো বিষয়ে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েছিলাম আমরা।"
স্টোকসের হতাশা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। বিস্ফোরক ভঙ্গিতে তিনি ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে আরও বলেন, “অধিনায়ক হিসেবে চূড়ান্ত হতাশ আমি। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আমরা স্কোয়াডের ঘোষণা করে ফেলেছিলাম। এখনও বশির এখানে আসার জন্য ভিসা পায়নি। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ওঁর প্ৰথম টেস্টে এরকম অভিজ্ঞতা হোক, চাইনি। ওঁকে আমরা অনুভব করতে পারছি।”
আরও পড়ুন: ভিসা অফিসে কাজ করি না! ইংল্যান্ড জল ঘোলা করতেই রোহিতের সপাটে বিস্ফোরণ সরাসরি
“এরকম অবস্থায় ও-ই প্রথম নয়। অনেকের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে, যাঁরা একই ঘটনার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে যে আমরা একজনকে নির্বাচন করলাম যে কিনা ভিসা সমস্যার জন্য ভারতে আসতে পারল না। তরুণ তারকার জন্য আমি নিজেও বিধ্বস্ত। এমন ধরণের ঘটনা রীতিমত হতাশার। অনেকেই এই সমস্যা অতিক্রম করার চেষ্টা করছে। ওঁর জন্য সত্যি খারাপ লাগছে।”