India vs England 4th Test at Ranchi: দিনের শুরুটা হয়েছিল আকাশ দীপের ঝড় তুলে দেওয়া স্পেলে। ইংল্যান্ড ৫৭/৩ হয়ে গিয়ে ধুঁকছিল। টি ব্রেকের আগেই ইংল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তবে শেষটা মোটেই সেভাবে কার্যকরী হল না। জো রুটের দুর্দান্ত শতরানে ভর করে ইংল্যান্ড দিন শেষ করল ৩০২/৭-এ। ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বেন ফোকস-এর সঙ্গে একশোর বেশি রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলেন রুট। আর দিনের শেষে শতরান করে অপরাজিত থাকলেন।
ভারতের হতাশা বাড়ল রিভিউ-এ। চা পানের বিরতির আগেই তিনটে রিভিউ নষ্ট করে বসে টিম ইন্ডিয়া। হাতে আপাতত আর কোনও রিভিউ অবশিষ্ট নেই। আচমকা সম্বিৎ হারানোকে অনেক সময় 'ব্রেন ফেড মোমেন্ট' বলা হয় ক্রিকেটীয় পরিভাষায়। রোহিতের ক্ষেত্রে সেটাই যেন হল রাঁচির স্টেডিয়ামে।
ডিআরএস-কে সময় সময় বলা হয় 'ধোনি রিভিউ সিস্টেম'। এতটাই নিখুঁত ছিলেন তিনি। আর ধোনির শহরেই কিনা রিভিউ নিয়ে বিড়ম্বনার সাক্ষী থাকল টিম ইন্ডিয়া। চা বিরতির আগেই ভারত শুক্রবার হাফডজন রিভিউ নিয়ে ফেলল। এর মধ্যে কাজে এল তিনটে। বাকি তিনটে জলে গেল। সঙ্গেসঙ্গেই কোটা খতম হয়ে গেল রিভিউয়ের। অলি পোপ, বেন ডাকেট, জনি বেয়ারস্টোর বিপক্ষে সফলভাবে রিভিউ নিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত। তবে রুট এবং বেন ফোকস-এর ক্ষেত্রেই গড়বড় করে ফেলল ভারত। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে গিয়ে সমস্যা হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: বারবার ‘বেয়াদপি’ টিম ইন্ডিয়ার ২ তারকার! কোটি কোটি টাকা কেড়ে পাল্টা শাস্তিতে জয় শাহরাও
এর মধ্যেই রোহিতের দোনোমোনো ভাব প্রকট হল জো রুটের ক্ষেত্রে।সেই সময় প্রথম স্পেলে বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন আকাশ দীপ। তাঁর আগুনে পেসে দুই উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল ইংরেজরা। সেই সময়ই আকাশ দীপের বল আছড়ে পড়ে রুটের প্যাডে। আম্পায়ার নট আউট দিলেও ভারতীয়রা দ্বিধাগ্রস্থ ছিলেন। রোহিত প্রাথমিকভাবে রিভিউ নেওয়ার পক্ষে সায়-ও দেননি। ধ্রুব জুরেলের সঙ্গে পরামর্শ করতে চাইছিলেন।
তবে ফিল্ডাররা সকলেই রোহিতের কাছে চলে আসেন। প্ৰথমে অশ্বিন এসে রোহিতকে রিভিউ নেওয়ার জন্য চাপ দেন। এরপরে বাকিরাও এসে রোহিতকে বোঝাতে থাকেন। হঠাৎ করেই সম্মিলিত চাপের কাছে যেন মাথা নুইয়ে দেন ক্যাপ্টেন। তাঁর সম্মতি না থাকলেও বুঝলেন, একসঙ্গে নয় জন নিশ্চয় তাঁকে ভুল বোঝাবেন না। রিভিউয়ের জন্য নির্ধারিত টাইমার-ও শেষের পথে। তখনই রোহিত রিভিউয়ের নির্দেশ দিয়ে দেন। তবে রিভিউয়ে স্পষ্ট দেখা যায় বল অফস্ট্যাম্পের বাইরে পিচ করেছিল। এরপরেই রোহিতকে হতাশায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
তৃতীয় সেশনের শুরুতেই সিরাজ হাফসেঞ্চুরির মুখে দাঁড়িয়ে থাকা বেন ফোকসকে ফিরিয়ে দেন। এরপরে অশ্বিনের বল রুটের প্যাডে আবার-ও আছড়ে পড়ে। আম্পায়ার আউট দিলেও ইংল্যান্ড শিবির পাল্টা আবেদন করে। রিভিউয়ে দেখা যায় বল প্যাডে লাগার আগেই ব্যাটের কানা স্পর্শ করে। রুটের সঙ্গে শুক্রবার ভাগ্য সহায় হয়েছিল। ভাগ্যের সওয়ারি হয়েই দলকে বিপদের হাত থেকে বাঁচালেন তারকা।