Ind vs Eng Ranchi Test: 'ও ভাই, হিরো হতে যাস না।' মাঠেই দলের জুনিয়র টিমমেট সরফরাজ খানকে ধমক লাগালেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মা। রাঁচিতে ভারত-ইংল্যান্ড চতুর্থ টেস্ট এই ধমকের সাক্ষী থাকল। দোষটা অবশ্যই সরফরাজের। আর, অধিনায়ক রোহিত বেশ সোজাসাপটা। যা বলেন এক্কেবারে সরাসরি। রোহিতের এই ধমক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটের সময়। সরফরাজ বেশ ভালোই ফিল্ডিং করছিলেন। তাঁকে সিলি পয়েন্টে ফিল্ডিং করতে নির্দেশ দেন রোহিত শর্মা। কিন্তু, দেখা যায়, সরফরাজ হেলমেট আর প্যাড না-পরেই ফিল্ডিং করতে নেমেছেন। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান টিম ইন্ডিয়ার সতীর্থরা। তখনই দেখা যায়, রোহিত শর্মা বোলারকে থামিয়ে সরফরাজের দিকে এগিয়ে যান।
রাঁচির চতুর্থ টেস্ট ম্যাচে ভারত প্রথমদিকে বেকায়দায় থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ৪৬ রানে লিড নিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংস শেষে দেখা যায়, ভারতের সামনে রয়েছে ১৯২ রানের টার্গেট। তৃতীয় দিনের শেষে বিনা উইকেটে ৪০ রান তুলেছে। তার আগে রোহিত আর সরফরাজের এই ঘটনা। সেসময় টিম ইন্ডিয়া ফিল্ডিং করছিল।
৪৭তম ওভারে খেলা থামিয়ে রোহিত সরফরাজকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে হেলমেট আর প্যাড চেয়ে নিতে। তিনি বলেন, 'এ ভাই, হিরো নেহি বননে কা'। রোহিতের নির্দেশে এরপর দেখা যায়, সরফরাজ খান হেলমেট চাইছেন। আর, তাঁকে এক সতীর্থ এসে হেলমেট দিয়ে যান। তাঁর প্রতি অধিনায়কের আস্থার এই মর্যাদাও রেখেছেন সরফরাজ। তিনি দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছেন। শর্ট লেগে বেন ডাকেটের ক্যাচ নিয়েছেন। মিড-অনে ডাইভ দিয়ে নিয়েছেন টম হার্টলির ক্যাচ।
তারপরও সরফরাজকে রোহিতের এই সতর্ক করার কারণ আছে। কারণ, সরফরাজের বাবা নওশাদ রোহিতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, তাঁর ছেলের একটু দেখভাল করার জন্য। রোহিত পালটা প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি সেটা করবেন। রবিবার বুঝিয়ে দিল, রোহিত তাঁর কথা রাখছেন। পাশাপাশি, এই সতর্কতার আরও কারণ, ১৯৯৮ সালের এক ঘটনা। সেবার ভারতীয় ক্রিকেটার রমন লাম্বা শর্ট লেগে বিনা হেলমেটে ফিল্ডিং করতে গিয়ে মাথায় চোট পান। তাতে কোমায় চলে যান লাম্বা। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন- রিঙ্কুর হৃদয়েই রয়েছেন জুরেল! KKR সুপারস্টারের মন খোলা বার্তায় ঝড় ক্রিকেট দুনিয়ায়
রাঁচি টেস্ট-এর দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত খেলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। যার সাহায্যে অশ্বিন এদিন রেকর্ড গড়েন। এটি ছিল তাঁর ৩৫তম পাঁচ উইকেট শিকার। এতদিন তিনি ও অনিল কুম্বলে ৩৫টি ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়ে সমান রেকর্ডের ভাগীদার ছিলেন। চতুর্থ টেস্ট ম্যাচে সেখান থেকেই কুম্বলেকে ছাড়িয়ে গেলেন অশ্বিন।