England tour to India: বোমাটা ফাটিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly)। আর, সপাটে জবাবটা এল ভারতীয় দলে তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ রাহুল দ্রাবিড়ের থেকে। দুই মহারথীর এই সংঘাতে এবার উত্তাল ভারতীয় ক্রিকেট। এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত পিচ নিয়ে। যা ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক আর তাঁর পার্টনারকে দাঁড় করিয়ে দিল দুই বিপরীত মেরুতে।
বর্তমানে ভারত আর ইংল্যান্ডের মধ্যে ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ চলছে। তার মধ্যে প্রথম টেস্ট ম্যাচে ভারত ২৮ রানে ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়। ঠিক তারপর, সেই টিম ইন্ডিয়াই বিপুল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এবার অবশ্য হায়দরাবাদ নয়। দ্বিতীয় ম্যাচ হয়েছে ভাইজাগ বা বিশাখাপত্তনমের মাটিতে।
দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল অধিনায়ক রোহিত শর্মার ভারতীয় দল। ম্যাচে যশস্বী জয়সওয়াল অনবদ্য দ্বিশতরান করেন। যার জেরে ভারতের রান গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯৬-এ। এরপর জসপ্রিত বুমরার অসাধারণ বোলিং রুখে দেয় ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের। যার জেরে ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৫৩ রানে। বুমরাহ ৪৫ রানে ৬ উইকেট তুলে নেন।
তৃতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের স্পিনাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেও রোখা যায়নি ভারতীয় ব্যাটারদের। শুভমান গিল ১০৪ রান করেন। যার জেরে টিম ইন্ডিয়ার রান পৌঁছে যায় ২৫৫-য়। এতে ইংল্যান্ডের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৯৯-এ। যা প্রায় অসম্ভব ছিল ইংল্যান্ডের পক্ষে। জ্যাক ক্রলি অর্ধশতরান করলেও বেন স্টোকসের দল ২৯২ রানেই গুটিয়ে যায়। ফলে, ১০৬ রানে দ্বিতীয় টেস্ট ছিনিয়ে টিম ইন্ডিয়া।
প্রথম টেস্ট ম্যাচের হারের পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত কয়েক ধাপ নেমে গিয়েছিল। দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের পর ভারতীয় দল পয়েন্ট তালিকায় দু'নম্বরে উঠে এল। এর মধ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় দলের এই জয়ের পর পোস্ট করেন যে এটা 'টার্নিং ট্র্যাক'। সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌরভ লেখেন, 'আমি ভাবছি কেন আমাদের ভারতে টার্নিং ট্র্যাক তৈরি করতে হবে। ভালো উইকেটে খেলার প্রতি আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রতি ম্যাচেই দৃঢ় হচ্ছে। পিচের কারণে ব্যাটিং মান হ্রাস পাচ্ছে।'
আরও পড়ুন- সিরিজ শেষের আগেই ভারত ছাড়ল ইংল্যান্ড! টেস্টে হেরে হঠাৎ বেনজির সিদ্ধান্ত ইংরেজদের
জবাবে ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, 'টিম ম্যানেজমেন্ট ঘরের মাঠে খেলার সময় ঘূর্ণি পিচ বানিয়ে দেওয়ার কোনও অনুরোধ করে না। ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এবং গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের বেশিরভাগ খেলা তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট যেমন চার দিন ধরে চলেছে। একটি টেস্টে পাঁচ দিনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পিচ কেমন আচরণ করবে, সেনিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন।'