নিউজিল্যান্ড: ১৭৬/৬
ভারত: ১৫৫/৯
ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে। সেই জ্বালা কিছুটা জুড়িয়ে এবার প্ৰথম টি২০-তে জিতল কিউইরা। রাঁচিতে ভারতকে ২১ রানে হারিয়ে সিরিজের লিড নিল ব্ল্যাক ক্যাপস বাহিনী। টসে জিতে ভারত নিউজিল্যান্ডকে প্ৰথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল। কিউইরা স্কোরবোর্ডে ১৭৬/৬ তোলে। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৫/৯-এর বেশি তুলতে পারেনি।
শিশিরের কথা মাথায় রেখে হার্দিক নিউজিল্যান্ডকে প্ৰথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। তবে ভারতীয় বোলাররা ফায়দা নিতে পারেননি। দুই কিউই ওপেনারই দলকে ভাল শুরুয়াত উপহার দেন। ওভার পিছু দুজনে ১০ করে তুলছিলেন। তবে ভারতকে ম্যাচে ফেরান ওয়াশিংটন সুন্দর। ওপেনার ফিন এলেন (২৩ বলে ৩৫) এবং মার্ক চ্যাপম্যানকে একই ওভারে ফিরিয়ে দেন তামিল স্পিনার। তবে অন্যপ্রান্তে টিকে যান অন্য ওপেনার ডেভন কনওয়ে (৩৫ বলে ৫২)। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন ড্যারেল মিচেল (৩০ বলে ৫৯)। কনওয়ে ফিফটি করে আউট হয়ে গেলেও শেষ ওভারে মিচেল বাউন্ডারির বন্যা বইয়ে কিউইদের নির্ভরযোগ্য ১৭৬ রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন। শেষ ওভারে মিচেল ২৭ রান তুলে ম্যাচের ফারাক গড়ে দেন।
১৭৭ রান চেজ করতে নেমে ভারতের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি। ১৫ রানের মধ্যেই টপ অর্ডার হারিয়ে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। ভারতের বোলিংয়ের সময় যেমন কুলদীপ, ওয়াশিংটনরা দাপট দেখান, তারই পাল্টা দেন কিউই স্পিনাররা। মিচেল স্যান্টনার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দলকে। যাইহোক, ভারত ১৫/৩ হয়ে যাওয়ার পরে ইনিংস মেরামতির কাজ শুরু হয় অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া এবং সূর্যকুমার যাদবের পার্টনারশিপে ভর করে। সূর্যকুমার (৩৪ বলে ৪৭) নিশ্চিত হাফসেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন। তবে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন তারকা। ইশ সোধি ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু দিয়ে যান। এরপরে ফিরে যান ক্যাপ্টেন হার্দিকও (২০ বলে ২১)। তারপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি ব্ল্যাক ক্যাপসদের।
ভারতের লোয়ার অর্ডারকে ধ্বংস করে দেওয়ার পর শেষদিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। মাত্র ২৫ বলে ফিফটি করে ম্যাচ কার্যত একার হাতে ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন সুন্দর। তবে শেষ ওভারে আউট হয়ে যান তিনি। ভারতও ২০ রান পিছনে পড়ে যায় দিনের শেষে।