নিউজিল্যান্ড: ১০৮/১০
ভারত: ১১১/২
শ্রীলঙ্কাকে কয়েকদিন আগেই ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ভারত। এবার নিউজিল্যান্ডকেও দুরমুশ করে চলেছে টিম ইন্ডিয়া। প্ৰথম ম্যাচে ৩৪৯ তুলেও ভারতকে শেষ পর্যন্ত অঘটনের হাত থেকে বাঁচতে হয়। ব্রেসওয়েল হৃদকম্প বাড়িয়ে দিয়েছিলেন হায়দরাবাদে। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারল না কিউইরা। ৮ উইকেটে একপেশে ম্যাচে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে বসল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। নিউজিল্যান্ডের ১০৯ রানের টার্গেট ভারত তাড়া করল তিরিশ ওভার এবং আট উইকেট হাতে নিয়ে।
রায়পুরে টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্ৰথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ভারত। প্ৰথম থেকেই শামি এবং সিরাজের দাপটে খাপ খুলতে ভুলে যায় কিউইরা। নিউজিল্যান্ডের টপ অর্ডার যখন দুমড়ে মুচড়ে যায় ১৫/৫ হয়ে গিয়ে, তখনই ১০.৩ ওভার! ওভার পিছু দেড় রানের সামান্য বেশি। এমন অবস্থা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারনি নিউজিল্যান্ড।
১৫ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসা নিউজিল্যান্ড দলগতভাবে হাফসেঞ্চুরি করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকে সফরকারী দলটিকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে কোনওরকমে একশো পের করিয়ে দেন গ্লেন ফিলিপস (৩৬), মিচেল ব্রেসওয়েল (২২) এবং মিচেল স্যান্টনার (২৭)। কিউইদের ইনিংসে দুই অঙ্কের রানে পৌঁছেছেন এই তিনজনই। এতেই প্রকট নিউজিল্যান্ডের শোচনীয় ব্যাটিং ব্যর্থতা।
মহম্মদ শামি ৬ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে তিনজনকে আউট করেন। হার্দিক পান্ডিয়া এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ৬ ওভারে রান খরচ করেন মাত্র ১৬ এবং ৭। দুজনেই দুটো করে উইকেট নিয়েছেন। মহম্মদ সিরাজ এক উইকেট নিলেও ভারতীয় বোলারদের মধ্যে তিনি কৃপণতম। ৬ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচ করেছেন তিনি। শার্দূল ঠাকুর এবং কুলদীপ যাদবও একটি করে উইকেট নেন।
সামান্য এই টার্গেট ভারত কতক্ষণে চেজ করে, সেটাই ছিল দেখার। রোহিত-শুভমান গিলের ওপেনিং জুটিতে ৭২ উঠে যাওয়ার পরে ভারতের মসৃণতম জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। রোহিত (৫০ বলে ৫১) হাফসেঞ্চুরি করে আউট হয়ে গেলেও শুভমান গিল শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকে ৫৩ বলে ৪০ করে যান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা বিরাট কোহলি ১১ করে আউট হয়ে যান। গিল শেষ পর্যন্ত ঈশান কিষানকে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।