৩৮৫/৯
২৯৫/১০
ভারতের কাছে ছিটকেই গেল নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে একপেশে হেরেছিল কিউইরা। তবে তৃতীয় ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করেই হারল কিউইরা। ভারত প্ৰথমে ব্যাট করে ভারত গিল-রোহিত শর্মার ওপেনিং পার্টনারশিপে জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩৮৫/৯ করেছিল। নিউজিল্যান্ড জবাবে ২৯৫ রানে অলআউট হয়ে যায়।
ভারতের ওপেনিং পার্টনারশিপই আসলে ম্যাচের ফারাক গড়ে দিল। ইন্দোরে ওপেনিং জুটিতেই দুজন ২১২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেললেন মাত্র ২৬.১ ওভারে।
হোলকার স্টেডিয়ামে প্ৰথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। তারপরে যে এরকমভাবে লাঞ্ছিত হতে হবে ভারতের কাছে, ভাবতেই পারেননি টম ল্যাথামরা। দুই ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিল এবং রোহিত শর্মা দুজনেই শতরান হাঁকিয়ে যান।
৫২ ইনিংসে সেঞ্চুরি খরা কাটিয়ে ফের শতরানের মুখ দেখলেন ক্যাপ্টেন রোহিত। তিন ফরম্যাটে ক্যাপ্টেন হওয়ার পর এই প্ৰথম সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। ৮৩ বলে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছন তিনি। হাঁকালেন নয় বাউন্ডারি, ছয়টা ওভার বাউন্ডারি। ৩৫ বছরের তারকার এটা ৩০ তম একদিনের শতরান। ওয়ানডে সবথেকে বেশি সেঞ্চুরির সংখ্যায় রোহিত আপাতত যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থানে। ছুঁয়ে ফেললেন রিকি পন্টিংকে।
শুভমান গিল অন্যদিকে নিজের দুর্ধর্ষ ফর্মের সাক্ষী রেখে এদিনও শতরান করে গেলেন। চলতি বছরে শুভমান ইতিমধ্যেই পাঁচটি ওয়ানডেতে একটা সেঞ্চুরি, একটা ডাবল সেঞ্চুরি এবং একটি অর্ধশতরান করে ফেলেছেন।।এদিন শুভমান আরও একটা শতরান করলেন মাত্র ৭২ বলে। হাঁকালেন ১৩ বাউন্ডারি, পাঁচ ওভার বাউন্ডারি।
মিচেল ব্রেসওয়েলের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে রোহিত বোল্ড হওয়ার আগে দুই তারকা ২১২ রান যোগ করে যান। রোহিত আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন শুভমান গিল-ও। ব্লেয়ার টিকনারের বলে ডেভন কনওয়ের হাতে ক্যাচ তুলে।বিদায় নেন তরুণ তুর্কি। ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ।
দুজনে আউট হয়ে যাওয়ার পরে ভারতকে প্রায় তিনশোর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং শার্দূল ঠাকুর (১৭ বলে ২৫)। শেষদিকে হার্দিক ৩৮ বলে ৫৪ করে যান। বিরাট কোহলি ২৭ বলে ৩৬ করলেও বেশিদূর টানতে পারেননি নিজের ইনিংস।
বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্ৰথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হয়ে ফিরে যান ফ্যাবিয়েন এলেন। তবে অন্য ওপেনার ডেভন কনওয়ে (১০০ বলে ১৩৮) সেঞ্চুরি করে যান। দ্বিতীয় উইকেটে হেনরি নিকোলাসের (৪০ বলে ৪২) সঙ্গে ১০৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান কনওয়ে। ব্রেসওয়েল (২৬) এবং মিচেল স্যান্টনারের (৩৪) ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত কিউইরা ২৯৫ পর্যন্ত পৌঁছয়। কুলদীপ যাদব, শার্দূল ঠাকুর তিনটে করে উইকেট নিয়েছেন। জুজবেন্দ্র চাহাল দুই উইকেট নিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার পর নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর ভারত আপাতত বিশ্বকাপের আগে আইসিসি ক্রমতালিকায় একনম্বরে উঠে এল। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে পিছনে সরিয়ে।