IND vs NZ 3rd Test pitch report: পুনেতে স্পিনের ফাঁদে ফেঁসে গিয়েছে ভারত, হেরে লজ্জাজনক সিরিজ খোঁয়াতে হয়েছে। তবে টিম ইন্ডিয়ার তরফ থেকে শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলা শেষ টেস্টের জন্য মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার কাছে রাঙ্ক টার্নার চাওয়া হল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সূত্র জানিয়েছেন, "একটা রাঙ্ক টার্নারের পিচ হতে চলেছে। টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে এমন পিচ চাওয়া হয়েছে যেখানে প্ৰথম দিন থেকেই বল টার্ন করবে। মনে হচ্ছে, পরীক্ষিত ফর্মুলাতেই ভারত মাঠে নামতে চাইছে।"
প্রথাগতভাবে পুনে পিচ একদমই রাঙ্ক টার্নার ছিল না। স্লো টার্ন ছিল। সেই সঙ্গে ম্যাচ যত গড়িয়েছে ততই অসমান বাউন্স প্রকট হয়েছে। তা সত্ত্বেও দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৯ জন ভারতীয় ব্যাটারই স্পিনের সামনে আত্মসমর্পণ করেছেন। যাঁর ১৩তীয় শিকার বাঁ হাতি মিচেল স্যান্টনারের। তবে বিদেশি স্পিনারদের সামনে নাকানিচোবানি খাওয়ার কাহিনী এবারই একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল না। ইন্দোরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এবং চেন্নাই, হায়দরাবাদে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাম্প্রতিক অতীতে একই সমস্যায় পড়েছে টিম ইন্ডিয়া।
ওয়াংখেড়েতে ভারতীয় ব্যাটারদের জন্য আরও দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে। লাল মাটির পিচে পর্যাপ্ত বাউন্সও মিলবে। স্পিন এবং বাউন্স দু-দলের ব্যাটারদের জন্যই কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে। এর সঙ্গে যদি যুক্ত হয় অসমান বাউন্সের বিষয়টি, তাহলে পুরো পাঁচদিন খেলা না গড়ানোর সম্ভাবনাই বেশি।
ওয়াংখেড়ের পিচ চিরকালীন রাঙ্ক টার্নারের জন্য প্রসিদ্ধ। ২০০৪-এ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ তিনদিনে ফিনিশ হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ ইনিংসে মাত্র ৯৩ রানে হড়কে গিয়েছিল। শেষ তিনটে টেস্টের দুটো ম্যাচই পুরো পাঁচ দিনের মুখ দেখেনি। এমন পিচ ভারতীয় স্পিনারদের বরাবরই পছন্দের।
পাঁচ টেস্টে রবিচন্দ্রন অশ্বিন এখানে ৩৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন ১৮.৪২ গড়ে। এই মাঠে যা কোনও বোলারের সর্বোচ্চ শিকার। একমাত্র টেস্ট খেলে রবীন্দ্র জাদেজাও ছয় উইকেট শিকার করেছিলেন।
মঙ্গলবার ম্যাচ শুরুর ঠিক তিন দিন আগে পিচ একদম শুকনো খটখটে, ঘাসের কোনও আস্তরণই নেই। গ্রাউন্ডসম্যানরা জল ছিটিয়ে দীর্ঘক্ষণ রোদে শুকোনোর জন্য ফেলে রাখছেন। তবে ম্যাচের ফার্স্ট সেশনে হালকা মৃদুমন্দ বাতাস বইলে সিমাররাও অল্পস্বল্প সাহায্য পাবেন।
READ THE FULL ARTICLE IN ENGLISH