ভারত: ৩৫৬/২
পাকিস্তান: ১২৮/১০
কুলদীপের স্পিনের ছোবল, ভারতের ব্যাটিং বিক্রম। পাকিস্তান এশিয়া কাপে লজ্জার হার স্বীকার করল ভারতের বিপক্ষে। ফ্লাডলাইটে জয়ের জন্য পাকিস্তানের টার্গেট ছিল ৩৫৭ রান। সেই রান চেজ করতে নেমে পাকিস্তান মুড়ে গেল মাত্র ১২৮ রানে। বুমরা-শার্দূল-হার্দিকদের পেসের সামনে শুরুতেই পাকিস্তান ঝলসে গিয়েছিল। শেষদিকে লোয়ার এবং মিডল অর্ডারে ভাঙচুর চালিয়ে কুলদীপ পাঁচ উইকেট দখল করে যান। ২২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে ভারত সুপার ফোর অভিযান শুরু করল।
দমবন্ধ করা রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান শুরু থেকেই বুমরা-সিরাজদের সামনে ব্যাকফুটে ছিল। পঞ্চম ওভারে ইমাম উল হককে ফিরিয়ে প্ৰথম ঝটকা দেন বুমরা। এরপরে বৃষ্টিতে সাময়িক ম্যাচ বন্ধ থাকার আগেই পাক ব্যাটিংয়ের টপ অর্ডার মুড়ে যায়। শার্দূল এবং হার্দিক পরপর দু-ওভারে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজমকে। সেই শুরু তারপর সময় যত গড়িয়েছে, ততই ম্যাচ থেকে হারিয়ে গিয়েছে পাকিস্তান।
গতকাল ঝড় তুলেছিলেন রোহিত-গিল। হাফসেঞ্চুরি করে ফিরেছিলেন। সোমবার ঝড় নয়, সাইক্লোন আছড়ে প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে। সাইক্লোন, সুনামি সব একসঙ্গে টেনে ফেললেন বিরাট কোহলি (৯৪ বলে অপরাজিত ১২২), কেএল রাহুল (১০৬ বলে অপরাজিত ১১১)। জোড়া সেঞ্চুরিতে কলম্বোর মাঠে পিষে মারলেন শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহদের। চার-ছক্কার বাউন্ডারিতে ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে তুলল ৩৫৬/২ রান।
পাকিস্তানিদের সঙ্গে মাঠে এত সৌজন্যবোধ দেখাচ্ছেন কেন কোহলি, প্রশ্ন উঠেছিল। কোহলি সোমবার দেখিয়ে দিলেন আচরণ নয়, ব্যাটেই আগুন ঝড়াতে পছন্দ করেন তিনি। অন্যদিকে, কেএল রাহুলের চোট এবং ধারাবাহিকতার অভাব নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। এশিয়া কাপের প্ৰথম ম্যাচে খেলতে নেমেই সমস্ত আলোচনা জলে ভাসিয়ে দিলেন তিনি। রবিবার বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে যাওয়ার পর সোমবারও খেলা পন্ড করার উপক্রম হয়। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ, কখনও ঝিরি ঝিরি, কখনও আবার মুষল ধারে বৃষ্টি। এমন অবস্থায় দফায় দফায় পর্যবেক্ষণ এবং খেলা শুরু হয় সাড়ে চারটেরও পরে। পুরো পঞ্চাশ ওভার ধরেই খেলা হবে, জানানো হয়।
বৃষ্টি থেমে গেলেও মাঠে রানের বন্যা বইয়ে দিতে শুরু করেন রাহুল, কোহলি। আইপিএল-এর পর থেকেই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে রাহুল। সোমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখলেন ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে। ১০ বাউন্ডারি, জোড়া ছক্কায় নিজের শতরান পূর্ণ করলেন। অন্যপ্রান্তে কোহলি শতরানে পৌঁছলেন মাত্র ৮৪ রানে। ৪৭তম ওয়ানডে শতরান তো বটেই সেইসঙ্গে একদিনের ক্রিকেটে ১৩ হাজার রানের মাইলফলকেও পৌঁছে গেলেন। পঞ্চম ব্যাটার হিসাবে এই কীর্তি তো গড়লেন। তিনিই আপাতত এই তালিকায় দ্রুততম।