দক্ষিণ আফ্রিকা: ১১৬/১০
ভারত: ১১৭/২
নামেই একদিনের ম্যাচ। অর্ধেক বেলাও গড়াল না খেলা। দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচের ফয়সালা হল মাত্র ৪৪ ওভারে। পাড়ার দল বানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্ৰথম টেস্টে হারাল টিম ইন্ডিয়া। অ-আ জুটির পেস-সুইংয়ে নাকানিচোবানি খেল প্রোটিয়াজরা। অর্শদীপ সিং এবং আবেশ খানের সুইং-গতির সামনে দাঁড়াতেই পারল না প্রোটিয়াজ সিংহরা। জোহানেসবার্গে শেষ টি২০'তে যে ভারতের কাছে উড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, সেই একই রং ছড়িয়ে ভারতের কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে বসল আফ্রিকান সিংহরা। মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যে রান ভারত তাড়া করল মাত্র ১৬.৪ ওভারে। হাতে ৮ উইকেট নিয়ে। অভিষেক ম্যাচে নেমেই সাই সুদর্শন দক্ষিণ আফ্রিকায় হাফসেঞ্চুরি করে গেলেন। তিনে নামা শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটেও এল অর্ধশতরান।
টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্যাপ্টেন আইডেন মারক্রাম প্ৰথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওয়ান্ডার্সে। প্ৰথম থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্ৰথম তিনটে উইকেটই অর্শদীপ শিকার করে প্রোটিয়াজদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। প্ৰথম দশ ওভারে চার উইকেট খোঁয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এগারোতম ওভারে আবেশ খান উইকেট নেওয়ার পার্টিতে যোগ দেন। পরপর দু-বলে মারক্রাম, মালডারকে ফিরিয়ে পরিস্থিতি ঘোরালো করে তোলেন। এগারো তম ওভারেই ৫২/৬ হয়ে ধুঁকছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ওভারের শেষ বলে ডেভিড মিলার আউট হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা ৫৮/৭ হয়ে যায়। শেষ তিন উইকেট যে দক্ষিণ আফ্রিকা আরও ৬৮ রান যোগ করল তাত পুরো অবদান-ই এন্ডিল ফুলেকাওয়ার। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিনি ৩৩ না করলে স্কোর কোনওভাবেই একশ পেরোত না।
অর্শদীপ পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর আবেশ খানের কাছেও সুযোগ ছিল ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করার। তবে তিনি পারেননি। দশম উইকেট তুলে নেন কুলদীপ যাদব। একদিনের ক্রিকেটে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন স্কোর।