দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৪৯/৪
ভারত: ২৪০/৮
প্ৰথম ওয়ানডেতেই হেরে বসল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার ২৫০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ৪০ ওভারে ভারত শেষমেশ তুলল ২৪০ রান। ৯ রানে হার হজম করলেও হৃদয় জিতে নিলেন সঞ্জু স্যামসন এবং শ্রেয়স আইয়ার। দলের নিয়মিত তারকারা খেললে যাঁরা হয়ত সুযোগই পেতেন না। আড়াইশো চেজ করতে নেমে ভারতের ইনিংস একদমই পরিকল্পনা মাফিক হয়নি। শিখর ধাওয়ান, শুভমান গিল একদমই ভারতকে ভালো শুরুয়াত উপহার দিতে পারেননি।
ভয়ংকর শ্লথগতির ইনিংসে ভারত প্ৰথম থেকেই চাপে ছিল। রুতুরাজ গায়কোয়াড (৪২ বলে ১৯) এবং ঈশান কিষানের (৩৭ বলে ২০) মিডল অর্ডারও সেই চাপ সামলাতে পারেনি। ১৮ ওভারে ভারত স্কোরবোর্ডে ৫১ তোলার ফাঁকেই হারিয়ে ফেলে টপ অর্ডারের চার তারকাকে।
সেই চাপ থেকেই টিম ইন্ডিয়া ঘুরে দাঁড়ায় শ্রেয়স আইয়ার এবং সঞ্জু স্যামসনের ব্যাটে ভর করে। দুজনে পঞ্চম উইকেটে ৬৮ রানের পার্টনারশিপে দলকে ম্যাচে ফেরান। সঞ্জু স্যামসন ৩৭ বলে ৫০ করে লুঙ্গি এনগিদির বলে আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে ৫০ করে যান। শ্রেয়স আউট হলেও শার্দূলের (৩১ বলে ৩৩) সঙ্গে ৯৩ রানের জুটিতে ভারতকে জয়ের লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। আস্কিং রেট বাড়ছিল। শেষের দিকে আকাশছোঁয়া আস্কিং রেটের সামনে ৩৮ তম ওভারে শার্দূল এবং কুলদীপ যাদব পরপর আউট হয়ে যান। সঞ্জু স্যামসন শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ৮৬ করে অপরাজিত থেকে যান।
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার IPL-এ খেলা জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন, বিমানবন্দরেই হাতকড়া
তার আগে বৃষ্টির জন্য ভিজে আউটফিল্ডের কারণে ম্যাচ বৃহস্পতিবার প্রায় দু' ঘন্টা দেরিতে শুরু হয়েছিল। খেলা শুরুর বিলম্বের কারণে ইনিংস পিছু ওভার সংখ্যা ৪০ ওভারে কমিয়ে আনা হয়।
টসে জিতে ভারত প্ৰথমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল। হেনরিখ ক্লাসেন (৬৫ বলে ৭৪) এবং ডেভিড মিলারের (৬৩ বলে ৭৫) ব্যাটে ভর করে প্রোটিয়াজরা স্কোরবোর্ডে ২৪৯ তুলেছিল। কুইন্টন ডিকক (৪৮) এবং জানেমান মালানও (২২) দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস গড়ার কাজে অবদান রাখেন।