দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যথাতে জ্বলে উঠলেন কেএল রাহুল। ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতার মিছিলে দুরন্ত শতরান করে টিম ইন্ডিয়াকে একাই টানলেন সেঞ্চুরিয়নে। মাত্র ১৩৩ বলে ১৪ চার, ৪ ছক্কায় সাজিয়ে রাখলেন স্মরণীয় এই ইনিংস। আর কেএল-এর ক্ল্যাসিকে ভর করে ভারত-ও বক্সিং ডে টেস্টে ২৪৫ রানের সম্মানজনক স্কোর খাড়া করল।
প্রায় দু-বছর টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পাননি রাহুল। সেঞ্চুরিয়নের এই সেঞ্চুরি তারকা ব্যাটারের শতরান-খরা কাটাল দু-বছর পর। ঘটনাচক্রে ২০২১-এর এই বক্সিং ডে টেস্টেই কেএল রাহুল শেষবার টেস্ট শতরান করেন এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে, এই একই ভেন্যুতে। সবমিলিয়ে এটাই কেএল-এর সপ্তম টেস্ট শতরান। আর সাতটা শতরান-ই এল বিদেশের মাটিতে। দক্ষিণ আফ্রিকা তো বটেই রাহুলের টেস্ট শতরানের কীর্তি রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ডের মাটিতে।
একই মাঠে, একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে, একই দিনে শতরানের নজির বিশ্বক্রিকেটে সম্ভবত বিরল। ১৩৭ বলে ১০১ করে অভিষিক্ত নান্দ্রে বার্গারের বলে রাহুল ফিরতেই ভারতের ব্যাটিং থেমে যায় ২৪৫ রানে।
বক্সিং ডে টেস্টের সঙ্গে কেএল-এই কানেকশন বেশ পুরোনো। এই নিয়ে কেরিয়ারের তৃতীয় বক্সিং ডে টেস্ট খেললেন তারকা। এর মধ্যে দুটো সেঞ্চুরি হয়ে গেল বক্সিং ডে টেস্টে। ২০২১-এর আগে ২০১৪-তেও বক্সিং ডে টেস্টে খেলেন তিনি। আদতে ২০১৪-এ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্টে মেলবোর্নে অভিষেক ঘটে তারকার। তার দীর্ঘ সাত বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০২১-এ যে বক্সিং ডে টেস্টে খেলেন, সেখানে ১২৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন।তারপর চলতি বক্সিং টেস্টে আরও একবার স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি।
বৃষ্টিবিঘ্নিত প্ৰথম দিনে খেলা হয়েছিল মাত্র ৫৯ ওভার। এর মধ্যেই ভয়ানক ব্যাটিং বিপর্যয়ে ভারত দিন শেষ করেছিল ২০৮/৮-এ। ৭০ রানে ব্যাট করছিলেন রাহুল। দ্বিতীয় দিন সিরাজকে সঙ্গে নিয়ে আরও ২০ রান যোগ করে যান। পরে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে সঙ্গে নিয়ে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তারকা। তারপরই তিনি আউট হতেই ভারতীয় ইনিংসের নটে গাছ মুড়িয়ে যায়।