ভারত: ২০৮/৮
মেঘলা আবহাওয়া। স্যাঁতস্যাঁতে কন্ডিশন। পেস বোলিংয়ের স্বর্গরাজ্য। সেই পিচেই ভারতের ব্যাটিং প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে হড়কে গেল। পূজারা-রাহানের মত দুই অভিজ্ঞ তারকা নেই টেস্ট স্কোয়াডে। নতুনদের সুযোগ দেওয়ার পথে হেঁটেছে। তবে সেঞ্চুরিয়নে গিল-যশস্বী-শ্রেয়স কেউই থিতু হতে পারলেন না। প্ৰথম দিনে খেলা গড়াল মাত্র ৫৯ ওভার। ভারত দিন শেষ করল ২০৮/৮-এ। প্ৰথমে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ দেরিতে শুরু হয়েছিল। শেষদিকে দৃশ্যমানতা কমে আসায় তড়িঘড়ি ম্যাচে স্ট্যাম্প ফেলে দেওয়া হল।
আর এর মধ্যেই ভারতকে টেনে নিয়ে গেলেন কেএল রাহুল। ৭০ রানে অপরাজিত রয়েছেন দিনের শেষে। একটা সময়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে ভারতের পক্ষে ১৫০ রান-ও সুদূরের মনে হচ্ছিল। সেখান থেকেই দুশো টপকে দিলেন রাহুল। ভারতকে দ্বিতীয় দিনে আরও টানার গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধেই।
সেঞ্চুরিয়নের দিনের শুরুতেই বাজিমাত করেছিলেন প্রোটিয়াজ ক্যাপ্টেন তেম্বা বাভুমা। টসে জিতে বোলিং সহায়ক পরিবেশে ব্যাট করতে পাঠিয়ে দেন ভারতকে। আর সিমিং কন্ডিশনে ভারত শুরুর ১১ ওভারেই টপ অর্ডারের তিনজনকে হারিয়ে ফেলে। রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সোয়াল এবং শুভমান গিলকে হারিয়ে ভারত একসময় ২৪/৩ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ভারতকে কিছুটা ম্যাচে ফেরায় বিরাট কোহলি-শ্রেয়স আইয়ারের ৬৭ রানের পার্টনারশিপ।
তবে দুজনই ভাগ্যের সাহায্য পান। শ্রেয়স এবং কোহলি দুজনেরই ক্যাচ মিস করেন দক্ষিণ আফ্রিকান ফিল্ডাররা। তবে লাঞ্চের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন রাবাদা। ক্রিজে টিকে যাওয়া কোহলি-আইয়ার দুজনকেই ফেরান দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিডস্টার।
রাবাদা এরপরে অশ্বিনকে আউট করে নিজের চতুর্থ উইকেট শিকার সম্পন্ন করে ফেলেন। রাবাদার মত নিখুঁত লাইন লেন্থে বল করতে পারছিলেন না কোয়েটজে এবং মার্কো জ্যানসেন। এতেই ক্রিজে থিতু হওয়ার সুযোগ পেয়ে যান কেএল রাহুল।
শার্দূল ঠাকুরের সঙ্গে ৪৩ রানের ছোটখাটো পার্টনারশিপে রাহুল ভারতের উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে রাবাদা ফিরে এসেই শার্দূলকে ফেরান। চা বিরতিতে ভারত ১৭৬/৭ ছিল। রাহুল ৩৯ রানে ব্যাটিং করছিলেন। তৃতীয় সেশনেই রাহুল নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করে যান। ৫২তম ওভারে শেষ দুই বলে পরপর চার-ছক্কা হাঁকান।