মেঘলা আবহাওয়া। স্যাঁতস্যাঁতে কন্ডিশন। পেস বোলিংয়ের স্বর্গরাজ্য। সেই পিচেই ভারতের ব্যাটিং প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে হড়কে গেল। পূজারা-রাহানের মত দুই অভিজ্ঞ তারকা নেই টেস্ট স্কোয়াডে। নতুনদের সুযোগ দেওয়ার পথে হেঁটেছে। তবে সেঞ্চুরিয়নে গিল-যশস্বী-শ্রেয়স কেউই থিতু হতে পারলেন না। প্ৰথম দিনে খেলা গড়াল মাত্র ৫৯ ওভার। ভারত দিন শেষ করল ২০৮/৮-এ। প্ৰথমে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ দেরিতে শুরু হয়েছিল। শেষদিকে দৃশ্যমানতা কমে আসায় তড়িঘড়ি ম্যাচে স্ট্যাম্প ফেলে দেওয়া হল।
আর এর মধ্যেই ভারতকে টেনে নিয়ে গেলেন কেএল রাহুল। ৭০ রানে অপরাজিত রয়েছেন দিনের শেষে। একটা সময়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে ভারতের পক্ষে ১৫০ রান-ও সুদূরের মনে হচ্ছিল। সেখান থেকেই দুশো টপকে দিলেন রাহুল। ভারতকে দ্বিতীয় দিনে আরও টানার গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধেই।
তবে দুজনই ভাগ্যের সাহায্য পান। শ্রেয়স এবং কোহলি দুজনেরই ক্যাচ মিস করেন দক্ষিণ আফ্রিকান ফিল্ডাররা। তবে লাঞ্চের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন রাবাদা। ক্রিজে টিকে যাওয়া কোহলি-আইয়ার দুজনকেই ফেরান দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিডস্টার।
A 5️⃣0️⃣ to remember!
Down to his new role in the middle order & @klrahul fights a splendid battle, pivoting #TeamIndia to a respectable total!
রাবাদা এরপরে অশ্বিনকে আউট করে নিজের চতুর্থ উইকেট শিকার সম্পন্ন করে ফেলেন। রাবাদার মত নিখুঁত লাইন লেন্থে বল করতে পারছিলেন না কোয়েটজে এবং মার্কো জ্যানসেন। এতেই ক্রিজে থিতু হওয়ার সুযোগ পেয়ে যান কেএল রাহুল।
An effortless lift goes all the way for 6️⃣!#ShreyasIyer shows his class after a nervous start. How many can he make in this innings?
শার্দূল ঠাকুরের সঙ্গে ৪৩ রানের ছোটখাটো পার্টনারশিপে রাহুল ভারতের উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে রাবাদা ফিরে এসেই শার্দূলকে ফেরান। চা বিরতিতে ভারত ১৭৬/৭ ছিল। রাহুল ৩৯ রানে ব্যাটিং করছিলেন। তৃতীয় সেশনেই রাহুল নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করে যান। ৫২তম ওভারে শেষ দুই বলে পরপর চার-ছক্কা হাঁকান।