অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওভালে ভারত প্রথম একাদশের বাইরে রেখেছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। সেই ঘটনা বিস্ময়ের উদ্রেক করেছিল ক্রিকেটবিশ্বে। টেস্টের দিন সকালে মেঘলা আবহাওয়া এবং সবুজ পিচ অশ্বিনকে দলের বাইরে রাখতে প্রলুব্ধ করেছিল টিম ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্টকে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বক্সিং ডে টেস্টে নামার আগে ভারতীয় শিবিরে সেই ইংল্যান্ডের দোনোমনো ভাব রয়েছে পুরোমাত্রায়। ওভালের মত সেই একই কন্ডিশন সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে।
শনিবার পিচ কিউরেটর ব্রেইন ব্লয় সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, "টেস্টের প্ৰথম দুই দিনের পূর্বাভাস যদি লক্ষ্য করা যায়, ব্যাপারটা মোটেই আশাপ্রদ নয়। চারদিন সূর্য ওঠেনি। স্পিনারদের জন্য কিছু রসদ থাকবে, বাউন্স এবং টার্ন দুটোই থাকবে। তবে আবহাওয়ার যা পূর্বাভাস শুনছি, তাহলে এই ভবিষ্যৎবাণী কতটা নিখুঁত হবে জানা নেই। কারণ প্রচুর বৃষ্টি হতে চলেছে।"
টেস্টে ৫০০ উইকেটের মালিক হতে অশ্বিনের প্রয়োজন মাত্র ১১ উইকেট। তবে সেনা দেশে অশ্বিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে অশ্বিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছিলেন, "২০১৮/১৯-এর পর থেকে বিদেশে আমার বোলিং অনেক উন্নত হয়েছে। দলের জয়ে সাহায্য করতে পেরেছি। দলের অধিনায়ক, কোচের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পুরো বিষয়টি বোঝাতলর চেষ্টা করেছি।"
সাম্প্রতিককালে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট অশ্বিনের তুলনায় শার্দূল ঠাকুরকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে। সেঞ্চুরিয়নেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। পিচে কতটা ঘাস রইল, আবহাওয়া কেমন- এসব ফ্যাক্টর ছাড়াও বাদ পড়া যেন ভবিতব্য হয়ে উঠেছে অশ্বিনের কাছে। আবহাওয়া যদি নিখুঁত পূর্বাভাস করে, তাহলে টেস্টের প্ৰথম দিন পুরোপুরি এবং দ্বিতীয় দিন আংশিক বৃষ্টিতে ধুয়ে যেতে পারে। তৃতীয় দিন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব থাকবে।
বয়েল বলেছেন, "তৃতীয় দিন যদি সকাল ১০ টার সময়েও শুরু হয় ম্যাচ, তাহলে আমাদের হাতে বেশি সময় থাকবে না। কারণ সকাল ১০টায় খেলা শুরু করতে হবে। সকালের ঠান্ডা অবহাওয়া ম্যাচের ফ্যাক্টর হয়ে যেতে পারে। দুদিন ধরে পিচ পুরো ঢাকা থাকবে। এতে বোলাররা সুবিধা পাবে।"
আর বৃষ্টির এই পূর্বাভাস নিয়েই অশ্বিনকে আরও একটা সেনা (SENA) টেস্টে বেঞ্চ গরম করতে দেখা যেতে পারে। ভারত সম্ভবত চার পেসার এক স্পিনার কম্বিনেশনে নামতে চলেছে।