ক্রিকেটে দুনিয়ায় বর্তমানে বিরল স্পোর্টিং স্পিরিটের পরিচয় দিলেন ভারতীয় বোলার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সুযোগ পেয়েও শুধুমাত্র স্পোর্টিং স্পিরিটের সাক্ষ্য রেখে তিনি আউট করলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার মার্কো জেনসেনকে। দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্ট-এর তৃতীয় দিনের ম্যাচ চলছিল বৃহস্পতিবার। মার্কো জেনসেন ছিলেন নন স্ট্রাইকার এন্ড-এ। সেই সময় আম্পায়ারের সামনের চূড়ান্ত রেখা থেকে বেরিয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার মার্কো জেনসেন।
অশ্বিনের সুযোগ ছিল, আম্পায়ারের সামনের উইকেটে বল ছুঁড়ে জেনসেনকে আউট করার। কিন্তু, তিনি তা করেননি। জেনসেনকে সতর্ক করেই ছেড়ে দেন। নজির রাখেন ক্রিকেটে পুরোনো দিনের উচ্চমানের মনোভাবের। যে মনোভাব, পেশাদারিত্বের চাপে বর্তমান ক্রিকেট দুনিয়ায় ক্রমশই কমে আসছে বলেই খেদ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের একাংশের। অবশ্য, এই স্পোর্টিং স্পিরিটের পরিচয় দেওয়ার জন্য প্রকাশ্যেই অধিনায়ক রোহিত শর্মার বকুনিও সহ্য করতে হয়েছে অশ্বিনকে।
শুধু, দলের অধিনায়কের বকুনিই নয়। অকৃতজ্ঞ মার্কো জেনসেনকেও দেখা যায়, অশ্বিনের দিকে ক্রুদ্ধভাবে তাকাতে। জেনসেন প্রথম ইনিংসে ১৪৭ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত থেকে গিয়েছেন। তিনি সহ খেলোয়াড় ডিন এলগারের সঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান। এলগার ২৮৭ বলে করেছেন ১৮৫ রান। তাঁকে সঙ্গত করে গিয়েছেন মার্কো জেনসেন। এলগারের ডাবল সেঞ্চুরিও হয়ে যেত।
লেগ-সাইড বাউন্সারের কাছে শার্দুল ঠাকুরের আলতো স্পিনেই কট বিহাইন্ড হয়ে ঘায়েল হন এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার। টেস্ট ক্রিকেটে এলগারের সর্বোচ্চ স্কোর ১৯৯। এবারও ভাগ্য তাঁর শিরোপায় ডাবল সেঞ্চুরির পালক বসাতে দিল না। সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে তুলেছে ৪০৮ রান। এর পিছনে অবশ্য বিশেষজ্ঞরা দক্ষিণে আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্বের চেয়েও ভারতীয় বোলার ও ফিল্ডারদের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন।