দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৭৮/৭
ভারত: ২৮২/৩
ধোনির শহরেই শেষমেশ সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। আর রাঁচিতে নায়ক ঝাড়খণ্ডেরই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঈশান কিষান। শ্রেয়স আইয়ারের দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরি (১১১ বলে ১১৩) এবং ঈশান কিষানের (৮৪ বলে ৯৩)-এ ভর করে ভারত ২৭৯ রানের টার্গেট পৌঁছল হাতে ৭ উইকেট নিয়ে। ২৫ বল বাকি থাকতে।
টসে জিতে প্ৰথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রোটিয়াজরা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে রবিবার টানলেন রেজা হেন্ড্রিক্স (৭৬ বলে ৭৪) এবং আইডেন মারক্রাম (৮৯ বলে ৭৯)। ৪০/২ হয়ে যাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় উইকেটে হেন্ড্রিক্স-মারক্রাম মিলে ১২৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান। শেষদিকে হেনরিখ ক্লাসেন (২৬ বলে ৩০) এবং ডেভিড মিলার (৩৪ বলে ৩৫) দলকে লড়াই করার মত পুঁজি এনে দেন।
আগের ম্যাচে চরম সমালোচিত হওয়া ঈশান কিষান যেমন ব্যাট হাতে নিজের জাত চেনালেন, তেমনই বল হাতে সমালোচকদের বার্তা দিলেন মহম্মদ সিরাজও। রবিবার ১০ ওভারে মাত্র ৩৮ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। দীপক চাহারের বদলে স্কোয়াডে ঢোকা ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুর বেশ খরুচে বোলিং করে যান। বাংলার শাহবাজ আহমেদ ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে আউট করেন ওপেনার জানেমান মালানকে (২৫)।
আরও পড়ুন: আকাশের দেশে তারা হয়ে গেলেন মেয়ে! ভারতে এসে ভয়ঙ্কর ট্র্যাজেডিতে ছারখার মিলার
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ান (১৩), শুভমান গিল (২৮) দলকে বেশিক্ষণ টানতে পারেননি। তবে তৃতীয় উইকেটে ১৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচের ভাগ্য চূড়ান্ত করে ফেলেন ঈশান কিষান-শ্রেয়স আইয়ার জুটি। শতরানের ঠিক সাত রান আগে ঈশান কিষান আউট হয়ে গেলেও সঞ্জু স্যামসনের (৩৬ বলে ৩০) বাকি রান তুলে দেন শ্রেয়স আইয়ার।