Advertisment

IND vs SA 2nd t20I Match Report: জলে গেল বরুণের ৫ উইকেট! থ্রিলারে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া আবেশ-অর্শদীপের রান মেশিনে

IND vs SA 2nd t20I Match Report Gqeberha St George's Park Stadium: প্ৰথমে ব্যাট করে ভারত স্কোরবোর্ডে ১২৪ করেও ম্যাচে জয়ের জন্য ফেবারিট ছিল একটা সময় পর্যন্ত। তবে ডেথ ওভারের বোলিং ডুবিয়ে দিল ভারতকে।

author-image
IE Bangla Sports Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
India vs South Africa, IND vs SA, ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, Varun Chakravarthy

IND vs SA 2nd two: বরুণের দুরন্ত বোলিং স্বত্ত্বেও হার ভারতের (টুইটার)

India vs South Africa, ​IND vs SA 2nd t20I Match Report: পুঁজি মাত্র ১২৪ রান। সেই অল্প রানের পুঁজি নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিংয়ের মাথা থেকে কোমর ভেঙে দিয়েছিল ভারত। বরুণ চক্রবর্তীর একটা চার ওভারের স্পেল তছনছ করে দিয়েছিল। তবে বরুণের স্পেল শেষ হতেই শেষবেলায় মরণ কামড়ে প্রোটিয়াজ ব্যাটিংয়ের লেজ ম্যাচ নিয়ে চলে গেল গ্যাবেরহার সেন্ট জর্জেস পার্কে। ১-১'স সমতা ফিরল হেভিওয়েট সিরিজে।

Advertisment

১২৪ রানের টার্গেট তাড়া করে শেষমেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেট খুঁইয়ে ম্যাচ জিতল এক ওভার বাকি থাকতে। টানা ব্যাটিং বিপর্যয়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ হয়ে ম্যাচ জেতালেন ট্রিস্টান স্তাবস এবং নয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা জেরাল্ড কোয়েটজে।

১২৪ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং শুরু হয়েছিল সদর্থক ভঙ্গিতে। রায়ান রিকেলটন এবং রেজা হেন্ড্রিক্স যেভাবে শুরু করেছিলেন মনে হয়েছিল চোখের পলকেই অল্প রানের স্কোর জমা করে ফেলবে ভারত।

তৃতীয় ওভারে অর্শদীপের স্লোয়ারে ঠকে গিয়ে রিকেলটন রিঙ্কুর হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেওয়ার পরেও বিপদের গন্ধ পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে পাওয়ার প্লেতে অর্শদীপ, হার্দিক পান্ডিয়ারা নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিলেন প্রোটিয়াজ ব্যাটিং।

ষষ্ঠ ওভারে, পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বরুণ চক্রবর্তী আসতেই ভারতের দিকে ম্যাচ ঢলে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকান টপ অর্ডার এবং মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরিয়ে বিপক্ষকে একদম ল্যাজে গোবরে করে ছেড়েছিলেন।

কেকেআরের মিস্ট্রি স্পিনারের গুগলি পড়তে না পেরে একের পর এক প্রোটিয়াজ ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফেরেন। প্ৰথম ওভারেই আইডেন মারক্রামকে গুগলিতে ফেরান তিনি। পরের ওভারে তাঁর শিকার রেজা হেন্ড্রিক্স। বরুণ চক্রবর্তীকে এড়ানোর জন্যই প্রোটিয়াজ ব্যাটিংয়ের দুই মহীরুহ হেনরিখ ক্ল্যাসেন এবং ডেভিড মিলারকে ব্যাটিং অর্ডারের নীচে নামানো হয়।

আগেভাগে পাঠানো হয় মার্কো জ্যানসেনকে। তবে তাতেও সুবিধা হয়নি। জ্যানসেন ১০ বলে ৭ রানেই শিকার হন বরুণের। বাধ্য হয়ে ক্ল্যাসেনকে যখন শেষমেশ নামতে হয় তখনও এক ওভার বাকি ছিল ভারতের নতুন রহস্য স্পিনারের। আর এক ওভারেই জোড়া ধাক্কা দেন বরুণ।

টানা দুই বলে ক্ল্যাসেন এবং মিলারকে ফেরত পাঠান সাজঘরে। প্ৰথম ম্যাচেও দুই প্রোটিয়াজ সুপারস্টারকে একই ওভারে আউট করছিলেন বরুণ। সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটালেন সেন্ট জর্জেস পার্কেও।

হ্যাটট্রিক হাতছাড়া হলেও বরুণ নিজের চার ওভারের কোটায় মাত্র ১৫ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট তুলে মাটিতে শুইয়ে দিয়েছিলেন প্রোটিয়াজ ব্যাটিংকে। ১৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ৮৮/৭-এ ধুঁকছিল। আস্কিং রেট ১০-এর মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। লো স্কোরিং এই থ্রিলার যে ভারত এমন পজিশন থেকে হেরে বসবে ভাবা যায়নি।

অক্ষর প্যাটেল এক মাত্র ওভারে মাত্র ২ রান খরচ করেছিলেন। তাঁকে পুরো সময় আর ব্যবহার করাই হল না। স্লো বোলারদের খেলতে যেখানে হিমশিম খেল প্রোটিয়াজ ব্যাটাররা সেখানে ডেথ ওভারেও হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেলদের অভিজ্ঞতা কাজে না লাগিয়ে কেন আবেশ খান, অর্শদীপের হাতে বল তুলে দিলেন ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার, তা বোধগম্য নয় অনেকেরই।

১৭ তম ওভারে অর্শদীপ সিংয়ের হাতে বল তুলে দেওয়ার পর থেকেই ভারত ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায়। ক্রিজে নামা জেরাল্ড কোয়েটজের মত লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারের সামনেই সেই ওভারে ১২ রান খরচ করে বসেন তিনি। হঠাৎ করেই মোমেন্টাম পেয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ফেরে এই ওভার থেকেই।

১৮ তম ওভারে আবেশ খান-ও ১২ রান খরচ করেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১২ রান। চারটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে প্রোটিয়াজদের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ট্রিস্টান স্টাবস। ৪১ বলে ৪৭ করে দলকে জিতিয়ে দেন তিনি। নয় নম্বরে নামা কোয়েটজে ৯ বলে ১৯ রানের ইনিংস যদিও ম্যাচের রং বদলে দিয়েছে মুহুর্তে।

তার আগে টসে হেরে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে সিমিং কন্ডিশনে ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল শুরু থেকেই। প্ৰথম দুই ওভারেই ভারত প্ৰথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ন সঞ্জু স্যামসন এবং অভিষেক শর্মাকে হারায়। টানা দুটো শতরান করা সঞ্জু প্ৰথম ওভারেই মার্কো জ্যানসেনের শিকার হন। প্রোটিয়াজ স্পিডস্টারের লেন্থ বল উইকেট ছেড়ে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান ইনিংসের তৃতীয় বলে।

পরের ওভারেই জেরাল্ড কোয়েটজের শিকার হয়ে ফেরেন অভিষেক শর্মা। তার আগেই রিভিউয়ে বেঁচেছিলেন তিনি। তবে জ্যানসেনের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নিতে হয় মাত্র দ্বিতীয় ওভারে। এদিন অভিষেকের অবদান মাত্র ৪ রান। সূর্যকুমার যাদবও ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। ব্যাটে বলের সংযোগ ঘটাতে না পেরে প্লাম্ব এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি। ১৫ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করার ফাঁকেই ৩ উইকেট খুঁইয়ে ফেলে ভারত।

 

পাওয়ার প্লের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত চাপে পড়ে গিয়েছিল। চতুর্থ উইকেটে তিলক ভার্মা, অক্ষর প্যাটেল ইনিংস গড়ে তোলার চেষ্টা চালু করেন। দুজনে মিলে ৩০ রান যোগ করেন। তবে তিলক ভার্মাকে ২০ বলে ২০ করার পর মিলারের অবিশ্বাস্য ক্যাচে ফিরতে হয়। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেই অক্ষর প্যাটেল ভারতের ইনিংস টানছিলেন।

চারটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে কঠিন পিচে ২১ বলে ২৭ করে ফেলেছিলেন। তবে হার্দিক পান্ডিয়ার সোজাসুজি শট পিটারের হাতে লেগে নন স্ট্রাইকিং এন্ডের উইকেটে লেগে দুর্ভাগ্যের রান আউট হয়ে যান অক্ষর। ভারত ৭০/৫ হয়ে যাওয়ার পর রিঙ্কু-হার্দিকের ওপর দায়িত্ব ছিল দলকে টানার। তবে রিঙ্কুও কিছুক্ষণ ফেরেন।

বাকি সময় ভারত উইকেট না হারালেও ১২৪-এর বেশি তুলতে পারেনি। হার্দিক অর্শদীপকে সঙ্গে নিয়ে পুরো ২০ ওভার কাটিয়ে দেন। কুংফু পান্ডিয়া ৪৫ বলে ৩৯ করে অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত।

South Africa Indian Cricket Team Indian Team South Africa Cricket Team India Cricket Team Team-India Team India india-vs-south-africa Team India
Advertisment