মঙ্গলবার ১৯তম ওভারে আইডেন মারক্রামকে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এর মধ্যে এক ছক্কায় মিডিয়া বক্সের কাচ ভেঙে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। রিঙ্কু ম্যাচের পরেই সেই ঘটনা জানতে পেরে হাসি মুখে ক্ষমা চাইলেন। বিসিসিআইয়ের তরফে বুধবার এক ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে রিঙ্কুকে বলতে শোনা গিয়েছে, "ছক্কা মারার সময় জানতাম না কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। তবে ম্যাচের পর আমাকে এই বিষয়ে জানানো হয়। এর জন্য দুঃখিত।"
প্রথমবার বিদেশের মাটিতে খেলতে নেমেছিলেন। এই নেমেই নিজের জাত চিনিয়েছেন রিঙ্কু সিং। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আন্তর্জাতিক টি২০ কেরিয়ারের নিজের সেরা স্কোর হাঁকিয়ে গেলেন নাইট রাইডার্স তারকা।
ফিনিশার হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি২০-তে মাত্র ছয় নম্বর ওভারেই মাঠে নেমে পড়তে হয়েছিল। ভারত পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ৫৫-৩ হয়ে যাওয়ায়। যশস্বী জয়সোয়াল, শুভমান গিল, তিলক ভার্মা আউট হয়ে গিয়েছিলেন সাত তাড়াতাড়ি। ক্রিজে ব্যাটিংয়ের অনেক সময় পেয়ে পূর্ণ সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন তিনি। ৩৯ বলে ৬৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস উপহার দিয়ে যান তিনি।
নিজের ইনিংসে রিঙ্কু নয়টা চার, দুটো ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান। কঠিন সময়ে ব্যাট করতে নেমে রিঙ্কু শুরুতে ক্যাপ্টেন সূর্যকুমারের সঙ্গে ইনিংস গড়ে তোলার কাজে মন দেন। ক্রিজে টিকে যাওয়ার পরে রুদ্রমূর্তি ধরেন তিনি। সূর্যকুমার আউট জয়ে যাওয়ার পর রিঙ্কু ঝড় তোলেন ডেথ ওভারে।
পোর্ট এলিজাবেথে নিজের ইনিংস নিয়ে রিঙ্কু বলে যান ম্যাচের পর। বলেন, "উইকেটে যখন ব্যাট করতে নেমেছিলাম। পরিস্থিতি মোটেই সহজ ছিল না। তিন-তিনটে উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সূর্যভাই আমাকে বললেন, 'যেভাবে ব্যাট করো, সেভাবেই খেলে যাও। সময় নিয়ে খেলো।' নিজের ওপর ভরসা রেখে খেলার পরামর্শ দেন সূর্যভাই। ইনিংসের শুরুর দিকে যখন ব্যাটে-বলের সংযোগ ঠিকমত হচ্ছিল না, আমাকে শান্ত রাখছিল ও। উইকেত পড়তে সময় লেগেছিল। তবে কয়েক বল খেলার পরেই ধাতস্থ হয়ে যাই।"
ভারত ৫৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর চতুর্থ উইকেটে রিঙ্কু সিং এবং সূর্যকুমার যাদব দুজনে ৭০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। দুজনে হাফসেঞ্চুরি করে যান।
ভারতের বড়সড় টার্গেট বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে প্রোটিয়াজদের জন্য কমে দাঁড়ায় ১৫ ওভারে ১৫২। তবে সেই টার্গেট অনায়াসে তুলে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। সাত বল, হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে।