বারেবারেই এই ঘটনা ঘটিয়ে এসেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট- তাব্রিজ শামসির শ্যু সেলিব্রেশন মাঠে ঝড় তুলে দেয়। এর আগে বহুবার করেছেন তিনি। বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছে। শিখর ধাওয়ানকেও এভাবে অসম্মানের অভিযোগ উঠেছিল। সেই কাণ্ডেরই পুনরাবৃত্তি ঘটল মঙ্গলবার রাতে।
সূর্যকুমার যাদবকে আউট করে জুতো হাতে তুলে সেলিব্রেশনে মাতলেন দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার তাব্রিজ শামসি। তারপরই বিতর্কের ঝড় আগের মত। সোশ্যাল মিডিয়ায় গনগনে ক্ষোভ দেখে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে লিখতে বাধ্য হলেন কারণ। বললেন, "এটা একটা মজার সেলিব্রেশন। যা অনেক কচি কাঁচারা উপভোগ করে। এতে ব্যাটারকে অসম্মানের কোনও প্রশ্নই নেই। এই আগেও এই কারণ বহুবার ব্যাখ্যা করেছি। আমাকে যাঁরা গালিগালাজ করছ, তাঁরা তোমাদের দেশেরই প্রকৃত ক্রিকেট সমর্থকদের নাম খারাপ করছ। চিয়ার্স।"
সূর্যকুমার যাদবের আউট-ই শেষমেশ ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। ভারত ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দলের হাল ধরেছিলেন সূর্যকুমার এবং রিঙ্কু সিং। উইকেট হারালেও আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দুজনে ৭০ রানের জুটিতে প্রোটিয়াজ বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিলেন। যে সময় মনে হচ্ছিল ভারত বিরাট স্কোরের কার্যত নিশ্চিত করে ফেলবে দুজনের ব্যাটে, সেই সময়েই শামসি ঝটকা দেন। তাঁর রং ওয়ান বুঝতে না পেরে সূর্যকুমার লং অনে জ্যানসেনের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন।
এরপরে রিঙ্কু উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে শেষ পর্যন্ত টানলেও অন্যদিকে উইকেট পতন অব্যাহত থাকে। যাতে ভারতের ২০০ প্লাস রানের স্বপ্ন বাধাপ্রাপ্ত হয়। শেষমেশ ভারত বড় বৃষ্টি-বিঘ্নিত ইনিংসে ১৯.৩ ওভারে ১৮০ তোলে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে নজর কাড়েন তাব্রিজ শামসি। নিজের ৪ ওভারের কোটায় ১৮ রানের বিনিময়ে তুলে নেন টিম ইন্ডিয়া অধিনায়কের বড় উইকেট। তবে দিনের শেষে বিতর্কিত হয়ে থাকল তাঁর সেলিব্রেশন।
বিতর্ক হবে বুঝতে হবে ম্যাচের শেষেই তিনি বলে দেন, "এই সেলিব্রেশন অনেকদিন বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তবে বাচ্চারা আমাকে বারবার এই সেলিব্রেশনের কথা বলে। ওদেরকে হতাশ করতে চাইনি। ভারতের বিপক্ষে চাপের মুখে পারফর্ম করতে পারাটা স্পেশ্যাল।"
সূর্যকুমারের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ শামসি। বলেন, "সূর্যকুমার যাদব একজন অসাধারণ ব্যাটার। এদিন ফের একবার দেখিয়ে দিল। আইডেনও (মারক্রাম) বোলারদের দারুণভাবে পরিবর্তন করেছে।"
ভারতীয় ইনিংসের শেষ তিন বল সহ ৫৫ মিনিট ম্যাচ বন্ধ থাকার পর ডিওয়াইএল নিয়মে দক্ষিণ আফ্রিকার পরিমার্জিত টার্গেট দাঁড়ায় ১৫ ওভারে ১৫২। সেই লক্ষ্যই দক্ষিণ আফ্রিকা হাতে ৫ উইকেট এবং সাত বল নিয়ে পেরিয়ে যায়।