প্রথমবার বিদেশের মাটিতে খেলতে নেমেই নিজের জাত চেনালেন রিঙ্কু সিং। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আন্তর্জাতিক টি২০ কেরিয়ারের নিজের সেরা স্কোর হাঁকিয়ে গেলেন নাইট রাইডার্স তারকা।
ফিনিশার হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি২০-তে মাত্র ছয় নম্বর ওভারেই মাঠে নেমে পড়তে হয়েছিল। ভারত পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ৫৫-৩ হয়ে যাওয়ায়। যশস্বী জয়সোয়াল, শুভমান গিল, তিলক ভার্মা আউট হয়ে গিয়েছিলেন সাত তাড়াতাড়ি। ক্রিজে ব্যাটিংয়ের অনেক সময় পেয়ে পূর্ণ সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন তিনি। ৩৯ বলে ৬৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস উপহার দিয়ে যান তিনি।
নিজের ইনিংসে রিঙ্কু নয়টা চার, দুটো ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান। কঠিন সময়ে ব্যাট করতে নেমে রিঙ্কু শুরুতে ক্যাপ্টেন সূর্যকুমারের সঙ্গে ইনিংস গড়ে তোলার কাজে মন দেন। ক্রিজে টিকে যাওয়ার পরে রুদ্রমূর্তি ধরেন তিনি। সূর্যকুমার আউট জয়ে যাওয়ার পর রিঙ্কু ঝড় তোলেন ডেথ ওভারে।
১৯তম ওভারে আইডেন মারক্রামকে পরপর দু-বলে ছক্কা হাঁকান। এর মধ্যে একটি ছক্কা এতটাই বিধ্বংসী ছিল যে মিডিয়া বক্সের কাঁচ-ও ভেঙে যায়। সেই ভাঙা কাঁচের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় দ্রুত-ই।
রিঙ্কুর ব্যাটের তান্ডব দেখে মুগ্ধ সুইং ডেল স্টেইন-ও। প্রোটিয়াজ কিংবদন্তি স্পিডস্টার বলে দিয়েছেন, "ওঁর টেম্পারমেন্ট দারুণ লাগল। ইনিংসের শুরুটা আরও ভালো লাগল। একটা বাউন্ডারি হাঁকানোর পরেই সিঙ্গলস নিল। যেন বলল, তোমাদের অনেক ধন্যবাদ, আপাতত একটা সিঙ্গলস -ই নেব। একটা ওভারে প্রথম তিন বলেই ৯-১০ তুলল। সেন্ট জর্জেস পার্কে এটা এক ওভারের জন্য পর্যাপ্ত রান। ও ক্রিজে থেকে প্রত্যেক ওভারে ১৫-১৭ করে তুলে গেল। এটা আমাকে প্রভাবিত করেছে।"
"এমন ইনিংস সাধারণত অভিজ্ঞতার সঙ্গে আসে। হাশিম আমলা এরকম খেলতেন। এতেই স্পষ্ট, রিঙ্কুর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিণতিবোধ রয়েছে। উইকেটের দুই দিক- অফসাইড, লেগ সাইড দুই দিকেই ও সাবলীল। বল সামান্য ওভার পিচড হলেই ও লং অন দিয়ে হাঁকাচ্ছিল। ও সবমিলিয়ে একজন অলরাউন্ড প্লেয়ার।"
রিঙ্কু ছাড়াও টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে ক্যাপ্টেনস নক খেলে গেলেন সূর্যকুমার যাদব। ৫৬ করলেন তিনিও। সূর্যকুমার-রিঙ্কু মিলে ৭০ রানের জুটি গড়লেন সেন্ট জর্জেস পার্কে। তিলক ভার্মা আউট হওয়ার পরে রিঙ্কু ক্রিজে নামেন। তারপর সূর্যের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে বড়সড় স্কোরে পৌঁছে দেন। রিঙ্কু হাফসেঞ্চুরি করলেন মাত্র ৩০ বলে। প্ৰথমবার বিদেশে খেলতে এসেছেন। আর এসেই রিঙ্কুর ব্যাটে ঝড় দেখল বিশ্ব।