দক্ষিণ আফ্রিকা: ৯৯/১০
ভারত: ১০৫/৩
ছিল সিরিজ দখলের লড়াই। সেই লড়াই-ই যে এভাবে একপেশে হয়ে যাবে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে, তা ভাবা যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার ১০০ রানের টার্গেট ভারত তুলে দিল ২০ ওভারের মধ্যে। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে। প্ৰথম ম্যাচে হারের পর টানা দু-টো ওয়ানডে জিতে ভারত ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে হারাল।
ভেজা আউটফিল্ডে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্ৰথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন ধাওয়ান। তাঁর সিদ্ধান্ত যে নির্ভুল ছিল, তা প্রমাণ করে দিলেন তাঁর স্পিনাররাই। কুলদীপ যাদব ৪.১ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে তুলে নিলেন চার প্রোটিয়াজ ব্যাটসম্যানকে। কুলদীপ লোয়ার অর্ডার একার হাতে ধ্বংস করে দেওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ধসে পড়ে ওয়াশিংটন সুন্দর, শাহবাজ আহমেদের ঘূর্ণি এবং মহম্মদ সিরাজের পেসে। তিনজনই দুটো করে উইকেট নিয়ে টপ এবং মিডল অর্ডার খতম করে দেন।
আরও পড়ুন: BJP-র প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই কি বোর্ডে ‘বাতিল’ সৌরভ! ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠে এল প্রকাশ্যে
দ্বিতীয় সারির ভারতীয় বোলারদের সামনে দুই অঙ্কের রান পেয়েছেন মাত্র তিনজন- ওপেনার জানেমান মালান (১৫), হেনরিখ ক্লাসেন (৩৪) এবং মার্কো জ্যানসেন (১৪)। এতেই স্পষ্ট ভারতের বোলিং বিক্রম। কুইন্টন ডিকক, ডেভিড মিলার, আইডেন মারক্রামদের মত তারকারাও সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে খাপ খুলতে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকা কোনওরকমে ২৭.১ ওভারে ৯৯ তোলার পরে ভারতের হেসেখেলে জয় ছিনিয়ে নেওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। সেটাই হল। ভারতের বিরুদ্ধে এটাই ওয়ানডেতে প্রোটিয়াজদের সর্বনিম্ন স্কোর। এমন টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারত শিখর ধাওয়ান (৮) এবং ঈশান কিষানের (১০) উইকেট হারিয়ে একসময় ৫৮/২ হয়ে যায়। তবে শুভমান গিল, শ্রেয়স আইয়ার (২৮) দলের জয় এনে দেন। শুভমান গিল শেষদিকে হাফসেঞ্চুরির ঠিক এক রান আগে আউট হয়ে যান। তবে তাতে জয় আটকায়নি ভারতের।