দক্ষিণ আফ্রিকা: ২২৭/৩
ভারত: ১৭৮/১০
দ্বিতীয় ম্যাচে ডেভিড মিলারের দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরিও বাঁচাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবে তৃতীয় ম্যাচে রিলি রসৌ সেই আক্ষেপ সুদে-আসলে মিটিয়ে নিলেন। ৪৮ বলে হান্ড্রেড করে গেলেন। ডিককও ৪৮ বলে ৬৩ করলেন। সবমিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ২২৭/৩ তাড়া করতে নেমে ভারত গুটিয়ে গেল ১৭৮ রানে। পুরো ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারল না ইন্ডিয়া। ১৮.৩ ওভারেই খতম ভারতের ইনিংস।
সিরিজের ফয়সালা আগেই হয়ে গিয়েছে। নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচ তবু বিশ্বকাপের আগে গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের কাছেই। সেই ম্যাচেই বাজিমাত প্রোটিয়াজ বাহিনীর। একপেশেভাবে ভারতকে হারাল ৪৯ রানে।
টসে জিতে ইন্দোরের হোলকর স্টেডিয়ামে ভারত প্ৰথমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল। শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকা তেম্বা বাভুমাকে হারিয়েছিল। তবে ডিককের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা প্ৰথম এগারো ওভারেই স্কোরবোর্ডে ১০০ তুলে ফেলে।
প্রোটিয়াজ তারকা উইকেট-কিপার রিলি রসৌয়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ৯০ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পরে রান আউট হয়ে যান। ডিককের প্রস্থানের পর দক্ষিণ আফ্রিকান ইনিংসকে একাই টেনে নিয়ে যান রসৌ। ট্রিস্টান স্টাবসের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে আরও এগিয়ে দেন তিনি। স্টাবস ১৩ বলে ২৮ করে যান। ডেভিড মিলার শেষদিকে ঝড় তুলে ৫ বলে ১৯ করেন। চাহার, সিরাজ, হর্শল প্যাটেল প্রত্যেকেই খরুচে এদিন।
বিশাল রান তাড়া করতে নেমে ভারত শুরুতেই রোহিতের (০) উইকেট হারায়। ৪ বলে ১ রান করে শ্রেয়স আইয়ারও প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ১৪ বলে ২৭ করার পরে ঋষভ পন্থ ট্রিস্টান স্টাবসের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। সূর্যকুমার যাদবও সাততাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান। ভারতকে টানছিলেন দীনেশ কার্তিক। ২১ বলে ৪৬ করার পর তাঁকে ফেরত পাঠান কেশব মহারাজ।
ভারত পরপর উইকেট হারিয়ে একসময় ৭৮/৪ থেকে ৮৬/৫ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ইন্ডিয়া যে সম্মানজনক ১৭৮ পর্যন্ত পৌঁছতে পারল তাঁর নেপথ্যে দীপক চাহারের ১৭ বলে ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস। উমেশ যাদবও ১৭ বলে ২০ করে দলের হারের ব্যবধান কমাতে সাহায্য করেন।
বিশ্বকাপের আগে ভারতকে ব্যাটিং ব্রিগেড আশ্বস্ত করলেও বোলারদের নিয়ে ভারতের দুশ্চিন্তা রয়েই গেল।