ঝড় তুলে সেঞ্চুরি করে গেলেন সূর্যকুমার যাদব। দ্বিতীয় টি২০'তে ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। আর ওয়ান্ডার্সে তৃতীয় টি২০'তে প্রোটিয়াজ বোলারদের তুলোধোনা করে সূর্যের এল কেরিয়ারের চতুর্থ টি২০ শতরান।
সূর্যকুমারের বিধ্বংসী শতরান এল মাত্র ৫৫ বলে। হাঁকালেন ৭ বাউন্ডারি, আট ওভার বাউন্ডারি। ক্রিজে নামার পর সেভাবে ব্যাটে-বলে করতে পারছিলেন না। ২১ করতে নিয়ে নিয়েছিলেন ২০ বল। তবে এর পরে পুরোটাই সূর্য-ময়। বাকি ৭৯ রান করলেন মাত্র ৩৫ বলে।
সূর্যকুমারের মন মাতানো শতরানে ভর করে ভারত স্কোরবোর্ডে তুলল ২০১ রান। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ২০ ওভারে ২০২ রান।
ভারতের ইনিংস গড়ার কাজে যোগ্য সহায়তা করে গেলেন যশস্বী জয়সোয়াল-ও। ৪১ বলে ৬০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে গেলেন যশস্বী-ও। আন্তর্জাতিক টি২০'তে সর্বাধিক শতরানের নজির রয়েছে রোহিত শর্মা এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। দুজনেই চারটে করে শতরান করেছেন। তবে সূর্যকুমার বৃহস্পতিবার ছুঁয়ে ফেললেন দুই তারকার টি২০ শতরান সংখ্যাকে।
আইডেন মারক্রাম টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। আর পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ভারতের টপ অর্ডারে বিপদ হিসাবে আবির্ভুত হয়েছিলেন কেশব মহারাজ। তৃতীয় ওভারে পরপর দু-বলে কেশব মহারাজ আউট করে দেন শুভমান গিল, তিলক ভার্মা।
প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দেয় যশস্বী জয়সোয়াল-সূর্যকুমারের ১১২ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ।
দুজনে চার-ছক্কার ঝড় তুলে প্রোটিয়াজদের অনভিজ্ঞ বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে দেন। টেস্টের প্রস্তুতির জন্য মার্কো জ্যানসেন, জেরাল্ড কোয়েটজেদের ছেড়ে দিতে হয়েছে। আর অভিষেককারী নান্দ্রে বার্গার, আন্দ্রে ফুলেকাওয়া, লিজার্ড উইলিয়ামসদের কার্যত দাঁড়াতেই দেননি দুজনে। লিজার্ড উইলিয়ামস এক ওভারে ২৩ রান খরচ করেন।
সেই তুলনায় প্রোটিয়াজ দুই স্পিনার তুলনামূলক ভালো বোলিং করেন। কেশব মহারাজ মাত্র ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ২ উইকেট। শামসি ৩৮ রান দিয়ে তুলে নেন ফর্মে থাকা যশস্বীকে।
যাইহোক, যশস্বী-সূর্যকুমারের দুরন্ত পার্টনারশিপে ছেদ ধরান শামসি। জশস্বী আউট হওয়ার পর রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে আরও ৪৭ রান যোগ হয়। এই পার্টনারশিপের অধিকাংশ রান-ই আসে ক্যাপ্টেনের ব্যাট থেকে। রিঙ্কু ১০ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি।
এক সময় মনে হচ্ছিল ভারত হয়ত ২২৫-এর আশেপাশে পৌঁছে যাবে। তবে ডেথ ওভারে ছোটখাটো ব্যাটিং বিপর্যয়ে ভারত স্কোরবোর্ডে ২০১ রানের বেশি তুলতে পারেনি।