IND vs SA: পিষে দিল। নাকি দুমড়ে মুচড়ে দিল বলা ভালো! নাকি ক্ষত বিক্ষত, থেঁতলে দেওয়া হল প্রতিপক্ষকে। উপযুক্ত বিশেষণ খুঁজতে গিয়ে আপাতত মাথায় হাত ক্রিকেট লিখিয়েদের। ছিনিমিনি খেলা হল ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে। তিলক ভার্মা এবং সঞ্জু স্যামসন টি২০-র ইতিহাস উল্টে পাল্টে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ নির্ণায়ক টি২০-তে।
প্রোটিয়াজ বোলারদের পাড়ার বোলার বানিয়ে দুজনেই হাঁকিয়ে গেলেন শতরান। দ্বিতীয় উইকেটে গড়লেন ২১০ রানের পার্টনারশিপ। ছক্কায় ছক্কায় অতিষ্ট করে ভারত গোটা ইনিংসে হাঁকাল ২৩ ছক্কা। এবং ১৭ বাউন্ডারি। এবং প্রতিবেদনের ওপরের প্রত্যেক লাইনই আসলে রেকর্ড।
টি২০-র ইতিহাসে শুক্রবারের আগে পর্যন্ত কোনও ম্যাচে একই সঙ্গে দুই ব্যাটার এক ইনিংসে শতরান হাঁকাননি। সঞ্জু স্যামসন শতরান হাঁকালেন ৫১ বলে। তিলক ভার্মা নিলেন আরও ১০ বল কম, ৪১ বল।
কয়েকদিন আগেই সিরিজের প্রথম টি২০-তে ফিল সল্ট-এর সঙ্গে একই আসনে বসেছিলেন সঞ্জু টানা দুটো টি২০ ইনিংসে জোড়া শতরান করে। তিলক ভার্মা মাত্র দুদিনের ব্যবধানে সঞ্জু-সল্টকে ছুঁয়ে ফেললেন ৪১ বলে দ্রুততম শতরানের মাধ্যমে।
সঞ্জু এই নিয়ে একই বছরে তিনটে টি২০ শতরান হাঁকালেন। একই ক্যালেন্ডার বর্ষে তিনটে টি২০ শতরান হাঁকানোর নজির আগে ছিল না। সেটাই একমাত্র ব্যাটার হিসাবে গড়ে ফেললেন সঞ্জু।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা থেকে ভারতের পুরো ইনিংসই ছিল যেন হাইলাইটস। শুরু থেকেই মারমার কাটকাট ব্যাটিং। অভিষেক শর্মা তার আগে ১৮ বলে ৩৬ রানের ক্যামিওয় ট্রেলার দেখিয়ে গিয়েছিলেন। ২০০ স্ট্রাইক রেটে তিনিই চারটে ওভার বাউন্ডারির সঙ্গে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান।
তারপর থেকে পুরোটাই সঞ্জু, তিলকের নামে। সঞ্জু শেষ পর্যন্ত ৯ ছক্কার সাহায্যে ৫৬ বলে ১০৯-এ অপরাজিত রইলেন। তিলক ভার্মা ৪৭ বলে হাঁকালেন ১২০। ৯টা বাউন্ডারির পাশে ১০টা ওভার বাউন্ডারি তাঁর নামের পাশে। ব্যাট করলেন অবিশ্বাস্য ২৫৫.৩২ স্ট্রাইক রেটে।
ভারত শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ২৮৩/১ তুলল নির্ধারিত ২০ ওভারে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ আগেই ২৯৭ এর স্কোর সুরক্ষিত রাখলেন ভারতীয়রাই।