Advertisment

মিলার-ডুসেনের ব্যাটে খুন ভারত! সেরার সেরা স্কোর করেও থ্রিলারে হোঁচট পন্থদের

India vs South Africa 1st t20: ঘরের মাঠে টানা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্ৰথম টি২০ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল পন্থের টিম ইন্ডিয়া।

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

ভারত: ২১১/৪
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২১২/৩

Advertisment

আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে নিয়ম করে প্রতি ম্যাচে তান্ডব চালিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন করেছেন গুজরাটকে। আইপিএল শেষের পরে আবার জাতীয় দলের হয়েও স্বপ্নের ফর্মে ডেভিড মিলার। ভারতের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের প্ৰথম ম্যাচেই একা ব্যাট হাতে জিতিয়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ঝড় তুলে শেষ পর্যন্ত করে গেলেন ৬৪ রান মাত্র ৩১ বলে।

আর কিলার মিলারের দোসর হিসাবে আবির্ভাব ঘটল রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের (৪৬ বলে ৭৫)। মিলার-ডুসেনের ১৩১ রানের পার্টনারশিপে রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারে ভারতকে হারতে হল ৭ উইকেটে। প্রোটিয়াজরা রেকর্ড রান তাড়া করল হাতে পাঁচ বল বাকি থাকতে।

আরও পড়ুন: ধোনি নন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের প্ৰথম টি২০ ক্যাপ্টেন ছিলেন এই মহাতারকা

২১১ তাড়া করে দক্ষিণ আফ্রিকা একসময় ৮১/৩ হয়ে গিয়েছিল। ওভার পিছু ১০ করে তুললেও পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ডিকক (১৮ বলে ২২), বাভুমা (৮ বলে ১০), প্রিটোরিয়াস (১৩ বলে ২৯) ফিরে যাওয়ায় জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে খেলা ঘুরিয়ে দেয় মিলার-ডুসেন পার্টনারশিপ।

বিশাল রান তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা দ্রুত ফিরে গিয়েছিলেন। ডোয়েন প্রিটোরিয়াসকে পিঞ্চ হিটারের ভূমিকায় নামানো হয়েছিল। পাওয়ার প্লে-তে সেই ভূমিকায় তিনি সফল। তবে প্রিটোরিয়াস রানের গতি বাড়িয়ে আউট হওয়ার পরে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান কুইন্টন ডিককও।

তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে বেশ চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়াজরা। ডুসেন প্ৰথমদিকে ব্যাটে-বলে করতে পারছিলেন না। তবে মিলার প্ৰথম থেকেই বিধ্বংসী ভঙ্গিতে শুরু করেন। মিলার হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ২২ বলে। অন্যদিকে, শিট এঙ্করের ভূমিকা নিয়েছিলেন ডুসেন। একসময় ৩২ বলে ৩০ করে নিজেকেই চাপে ফেলে দিয়েছিলেন তারকা।

তবে ১৭ তম ওভারে নিজের খুনে মেজাজে ধরা দেন ডুসেন। হর্ষল প্যাটেলের ওভারে তিনটে ওভার বাউন্ডারি, একটা বাউন্ডারি সমেত ২২ রান তুলে দেন। ছক্কা মেরে ফিফটি করেন ৩৭ বলের মাথায়।

আরও পড়ুন: করোনার ছোবলে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ! ম্যাচের আগেই ছিটকে গেলেন নামি সুপারস্টার

শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৩৪ রান। ১৮ তম ওভারে ভুবনেশ্বর ২২ রান খরচ করতেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। এরপরে বাকি রান চেজ করতে কোনও সমস্যাই হয়নি।

তার আগে প্ৰথমে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারত বিশাল স্কোর তুলেছিল স্কোরবোর্ডে। শ্রেয়স আইয়ার (২৭ বলে ৩৬), ঋষভ পন্থ (১৬ বলো ২৯) এবং হার্দিক পান্ডিয়ার (১২ বলে ৩১) ক্যামিও ভারতকে পৌঁছে দিয়েছিল ২১১ রানের এভারেস্টে।

ওপেন করতে নেমে বড় রানের রিংটোন সেট করে দেন দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড (১৫ বলে ২৩) এবং ঈশান কিষান (৪৮ বলে ৭৬)। দুজনেই ফিফটি পার্টনারশিপ করে দলকে ভালো সূচনা উপহার দেন।

স্কোরবোর্ডে বড় রানের পুঁজি নিশ্চিত করার পরে ইনিংসের মাঝপথে ঈশান কিষান বলে গিয়েছিলেন এই পিচে ১৫০ মোটামুটি ভালো স্কোর। ২০০+ স্কোর ডিফেন্ড করার বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ভারত।

পাওয়ার প্লে-তে দুর্দান্ত বোলিং করলেন ভুবনেশ্বর কুমার। হর্ষল প্যাটেল, অক্ষর প্যাটেলরা প্রোটিয়াজদের রান তোলার গতিতে লাগাম লাগিয়েছিলেন প্ৰথম দিকে। আবেশ খান প্ৰথম ওভারে খরুচে হলেও দ্বিতীয় স্পেলে ভালো বোলিং করলেন। তবে ডেথ ওভারে হর্ষল থেকে ভুবনেশ্বর মিলার-ডুসেনদের তান্ডব থামাতে ব্যর্থ।

South Africa Indian Cricket Team
Advertisment