ভারত: ১১০/২
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১০৬/৮
গ্রিন পার্কের পিচ সত্যি সত্যি গ্রিন ছিল। সেই পিচেই ভারতীয় সিমাররা ল্যাজেগোবরে করে ছাড়ল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দুর্ধর্ষ সিরিজ জয়ের পর প্রোটিয়াজ সিরিজেও জয় দিয়ে সূচনা করল ভারত। তিরুবন্তপুরমে ভারত ২০ বল বাকি থাকতে, ৮ উইকেটে সহজেই হারাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
প্ৰথমে ব্যাট করে প্রোটিয়াজরা লজ্জাজনক অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে কোনওরকমে ১০৬ তুলেছিল স্কোরবোর্ডে। সেই রান তাড়া করে ভারত জিতল সূর্যকুমার যাদব এবং কেএল রাহুলের দাপুটে ব্যাটে ভর করে।
হার্দিক পান্ডিয়া এবং ভুবনেশ্বর কুমারের জায়গায় ভারত প্ৰথম একাদশে নিয়েছিল ঋষভ পন্থ এবং আর্শদীপ সিংকে। আর সেই আর্শদীপ সিংয়ের হুংকারেই ধসে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। সঙ্গী হিসেবে দোসর হলেন দীপক চাহার।
প্ৰথম তিন ওভারের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা ৯/৫ হয়ে গিয়ে কুখ্যাত রেকর্ড গড়ার হদিশ দিয়েছিল। প্ৰথম ওভারে দীপক চাহারের বলে তেম্বা বাভুমার বোল্ড হওয়ার মাধ্যমে বিপর্যয় শুরু। তারপরের ওভারে আর্শদীপের সুইংয়ে নাকানিচোবানি প্রোটিয়াজরা। একই ওভারে ফেরান ডিকক, রিলি রসৌ এবং ডেভিড মিলারকে। তৃতীয় ওভারে ত্রিস্তান স্ট্যাবসকে চাহার ফিরিয়ে দেওয়ার পর প্রোটিয়াজ শিবিরে লজ্জার আতংক তাড়া করেছিল।
আরও পড়ুন: বিলেতের মাটিতেই কি ভারত-পাক টেস্ট সিরিজ! কী সিদ্ধান্ত নিল সৌরভের বোর্ড
সেই অবস্থা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় মারক্রামের ২৪ বলে ২৪-এ ভর করে। মারক্রামের পর ওয়েন পার্নেল (৩৭ বলে ২৪) এবং কেশব মহারাজ (৩৫ বলে ৪১) কোনওরকমে দলের স্কোর ১০০ পার করিয়ে দেন। শেষমেশ ২০ ওভারে ১০৬/৮-এ থেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকানদের ইনিংস।
ভারত সেই রান তাড়া করতে নেমে একসময় বেশ কেঁপে যায় রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিকে হারিয়ে। দুই মহাতারকা আউট হওয়ায় ভারত ১৭/২ হয়ে গিয়েছিল। তবে চ্যালেঞ্জিং পিচে সূর্যকুমার যাদব এবং কেএল রাহুলের ৯৩ রানের পার্টনারশিপ ভারতকে সহজে জয় এনে দেয়। দু-জনেই জোড়া হাফসেঞ্চুরি করে যান।
কঠিন পিচেও সূর্যকুমার ৩৩ বলে ৫০ রানের টর্নেডো খেলে যান। হাঁকান তিনটে ছক্কা, পাঁচ বাউন্ডারি। অন্যদিকে, কেএল রাহুল অনেকটাই সংযত। ওয়ানডেচিত ভঙ্গিতে ৫১ করতে নিলেন ৫৬ বল। চারটে ছক্কা এবং জোড়া বাউন্ডারিতে সাজানো রাহুলের ইনিংস।